বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে বড় সতিনকে নির্বাচনে জয়ী করতে ছোট দুই সতিনকে গণসংযোগ করতে দেখো গেছে। উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মালিগাঁও মেহেরপাড়া এলাকার জনৈক মৃত সহবত আলী’র পুত্র মো. দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী তারা।
দেলোয়ার পেশায় একজন মৎস্যচাষী। ২০০৪ সালে উপজেলার সর্দারপাড়া এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ শাহীনা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১ ছেলে, ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। ২০১১ সালে উপজেলার নলপুখুরী এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ আকলিমা বেগমকে বিয়ে করলে আরো ১ ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এরপর ২০১৬ সালে উপজেলার রাখালদেবী হাটের এসএসসি পাশ করা মেয়ে মোছাঃ রত্না আক্তারকে বিয়ে করেন এই দেলোয়ার হোসেন। বিয়ের পরে রত্নার কোল জুরে আসে আরো এক ছেলে সন্তান।
তিন স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ মোট ৮ জনকে নিয়ে তিন রুম বিশিষ্ট একটি বাড়ি করে একই হাড়িতে খেয়ে এক সাথেই খুব ভালোভাবে সংসার চালিয়ে আসছেন দেলোয়ার।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপের তফসীলে আটোয়ারী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দেলোয়ার পরিবারের সাথে আলোচনা করে প্রথম স্ত্রী মোছাঃ শাহীনা বেগমকে রাধানগর ইউনিয়নের (৪,৫,৬) সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পদে নিবার্চন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় দুই সতিন ও স্বামীর গণসংযোগ এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন । দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা জানান, আমরা ৩ জন সতিন নয়, আমরা ৩ বোন একই পরিবারে ১ স্বামী নিয়ে ঘর সংসার করি। আমাদের ৩ জনকেই সমান চোখে দেখে দেলোয়ার। দেলোয়ারের অর্থ সম্পদ তেমন না থাকলেও তার সুন্দর একটা মন আছে। আর এই সুন্দর মনের মানুষকে নিয়ে আমরা তিন সতিন সুখের সংসার করছি।
তৃতীয় স্ত্রী মোছাঃ রত্না আক্তার জানান, আমাদের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের বড় বোন মোছাঃ শাহীনা বেগমকে ভোটে প্রার্থী করে এক সাথে গণসংযোগ করছি। আমাদের বোনকে জয়যুক্ত করেই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
স্বামী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এত বড় সংসার চালিয়েও আমি এলাকার মানুষের জন্য ইতোপূর্বে অনেক কাজ করেছি। আর আমার প্রথম স্ত্রী শাহীনা এলাকার মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় একজন নারী। সে ক্ষেত্রে মানুষ আমার বা তার সাথে বেইমানি করতে পারে না। রাধানগর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওর্য়াডের সন্মানিত ভোটারগণ শাহীনাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ, ৪ নভেম্বর বাছাই ও ১১ নভেম্বর প্রত্যাহারের শেষ সময়। ভোট গ্রহণ হবে আগামি ২৮ নভেম্বর।