1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ বিজয়ী জাতীয় ফুটবল দলের পাহাড়ি কৃতি ফুটবলারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য উপদেষ্টা প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল নিয়ে ডিআরইউ’র উদ্বেগ জনতার তোপের মুখে শেরপুরে হাসপাতাল ছেড়ে পালালেন তত্ত্বাবধায়ক শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের রুদ্ধশ্বাস জয় প্রতিবেশীদের স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা পটুয়াখালী গলাচিপে আবাসিক এলাকায় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধের দাবি হাসিনার আমলে যারা নির্বাচন করেনি, তাদের নিয়ে সরকার গঠন করবে বিএনপি: বরকত উল্লাহ বুলু গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাজ্যের সমর্থন কুমিল্লায় স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা পরিষ্কার করলেন তরুণরা রাষ্ট্র সংস্কারই এই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা

ইউপি নির্বাচন: মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বি মেয়ে

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১
  • ২০৯ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যপদে মাকে জয়ী করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন মেয়ে। ফলাফলও এসেছিল নিজেদের পক্ষে। তবে এবার একই পদে নির্বাচনে মায়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন মেয়েও। মেয়ের দাবি, মা তাঁকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি না রাখায় তিনি প্রার্থী হয়েছেন। মা বলছেন, অন্যের প্ররোচনায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন মেয়ে।

এই ঘটনা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ৪ নম্বর নিয়ামতপুর ইউপি নির্বাচনে। ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর মিলে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্যপদে মা হুরজান বেগম (৬০) আর মেয়ে আজিজা বেগম (৩৮) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মা-মেয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

হুরজান বেগম ও আজিজা বেগম ইউনিয়নের নগর-চাপরাইল গ্রামের বাসিন্দা। আজিজা বেগমের বাবা ওয়াজেদ আলী পেশায় একজন কৃষক। ওয়াজেদ আলী জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে স্ত্রী হুরজান বেগমের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে। সেই থেকে তাঁরা নগর-চাপরাইল গ্রামে বসবাস করেন। বিবাহবিচ্ছেদের সময় হুরজানের ঘরে দুটি সন্তান ছিল। এক ছেলে আর এক মেয়ে। ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ব্যবসা করেন আর মেয়ে আজিজা বেগম একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তাঁর বিয়ে হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখ গ্রামে। স্বামী মো. কামরুজ্জামানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতেই থাকেন। বর্তমানে তাঁরা মা-মেয়ে একই বাড়িতে বসবাস করছেন। ওয়াজেদ আলী পরবর্তী সময়ে আরেকটি বিয়ে করে সংসার করছেন।

আজিজা বেগমের ভাষ্য, গতবারের নির্বাচনে তিনি মাকে বিজয়ী করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। দিনরাত পরিশ্রম করে ভোট করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর মা সবকিছু ভুলে গিয়েছিলেন। পরিবারের প্রতি তিনি কোনো খোঁজ রাখেননি। এমনকি একটা মানুষের সহযোগিতা করার কথা বললে তিনি তা রাখেননি। পরিষদ থেকে পাওয়া সাহায্য-সহযোগিতা মা তাঁর ইচ্ছেমতো মানুষের জন্য করেছেন, তিনি কাউকে সহযোগিতা করার কথা বললে সেটা রাখেননি। তাছাড়া মা গত নির্বাচনের সময় বলেছিলেন, এবারের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন না। মেয়ে হিসেবে তাঁকে প্রার্থী করবেন, কিন্তু ভোটের সময় তিনি কথা না রেখে নিজেই প্রার্থী হয়েছেন।

মা হুরজান বেগম বলছেন, তিনি বর্তমান ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছেন। গত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর প্রতিপক্ষ আরও তিনজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে তাঁর মেয়ে আজিজা বেগম রয়েছেন। পাঁচটি বছর তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষ তাঁর পক্ষে রয়েছেন। এই সময়ে তিনি ভোটের মাঠ তৈরি করে রেখেছেন। এখন মেয়ে কোনো কথা না শুনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

হুরজান বেগম বলেন, মেয়েকে বড় করেছেন। মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করিয়েছেন। একটা চাকরির ব্যবস্থাও তিনি করে দিয়েছেন। এখন অন্যের প্ররোচনায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, যে জমিতে মেয়ে-জামাই থাকেন, সেটাও তাঁর নামে দলিল করা। তাঁর দুই নাতনি রয়েছে। বড় নাতনি সুমাইয়া আক্তারকে তিনিই বিয়ে দিয়েছেন, আর ছোট নাতনি সোহানা আক্তার নবম শ্রেণিতে পড়ছে। বর্তমানে পরিবারে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তাঁদের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার উপক্রম। তিনি বলেন, একটি মহল ইউনিয়নে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মেয়েকে ইন্ধন দিয়ে প্রার্থী করেছেন, যা মেয়ের বোঝা উচিত।

এদিকে আজিজা বেগম বলেন, এখন মা বলে বেড়াচ্ছেন, মেয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু তিনি তা করবেন না বলে জানান। তিনি আরও জানান, তাঁকে নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। মনোনয়নপত্র তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, পরে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতায় ফেরত পেয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com