বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আবারও পুরোনো নিয়মে ফিরে যাচ্ছে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই-প্রক্রিয়া। ২০২৭ সালের চক্রে আর থাকছে না বিশ্বকাপ সুপার লিগের নিয়ম। ফলে র্যা ঙ্কিংভিত্তিক বাছাইয়ের সঙ্গে বৈশ্বিক বাছাইপর্বের মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে দলগুলো।
২০২৭ সাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলবে ১৪টি করে দল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ আইসিসি জানিয়েছে বাছাই-প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের খবর, ‘প্রধান নির্বাহীদের কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করেছে বোর্ড। একটা নির্দিষ্ট সময়ে র্যা ঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা দলগুলো সরাসরি সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। বাকি দলগুলো ঠিক করা হবে বৈশ্বিক বাছাইপর্বের মাধ্যমে।’
২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ছিল মাত্র ১০টি দল। সেবারও র্যা ঙ্কিংয়ের একটা নির্দিষ্ট সময়ে শীর্ষ আটের মধ্যে থাকা দলগুলো সুযোগ পেয়েছিল সরাসরি। বাকি দুটি দলকে আসতে হয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব নামের টুর্নামেন্ট পেরিয়ে। তবে ১০ দলের বিশ্বকাপের নিয়ম সমালোচিত হয়েছে তখন থেকেই, বিশেষ করে আইসিসির সহযোগী সদস্যগুলো শুরু থেকেই অনাস্থা জানিয়ে এসেছে এ নিয়মে। ২০২৭ সাল থেকে আবারও দলসংখ্যা বাড়বে।
অবশ্য আগামী বিশ্বকাপ হবে ১০ দলেরই। ২০২৩ সালে ভারতে হতে যাওয়া সে বিশ্বকাপের জন্য বাছাই-প্রক্রিয়া বদলে ফেলেছিল আইসিসি। বিশ্বকাপ সুপার লিগ নামের নতুন এক প্রক্রিয়ায় দলগুলোর দ্বিপক্ষীয় সিরিজে একটা নির্দিষ্টসংখ্যক পয়েন্টের নিয়ম আছে। এ লিগ শেষে স্বাগতিক ভারত ও শীর্ষে থাকা সাতটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। বাকি দুটি দল আসবে বাছাইপর্বের টুর্নামেন্ট খেলে।
বিশ্বকাপ সুপার লিগ বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিলেও অবশ্য টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম একই রাখছে আইসিসি। পরবর্তী চক্রেও খেলবে নয়টি দল। দুই বছরের চক্র শেষে শীর্ষে থাকা দুটি দল খেলবে ফাইনাল। ২০২১ সালে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। শুরুতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে পয়েন্ট পদ্ধতি ছিল, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর সেটিতে আনা হয়েছিল পরিবর্তন।
আজ ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। তিন বছরের তিনটি মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর বাধ্যতামূলকভাবে সরে দাঁড়াতে হয়েছে সাবেক ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলেকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন আরেক ভারতীয়—বিসিসিআইয়ের এখনকার চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।
আইসিসির সভা শেষে এসেছে মেয়েদের ক্রিকেটের কাঠামোগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও। ছেলেদের মতো মেয়েদের ক্রিকেটেও প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের শ্রেণিবিভাগ করা হচ্ছে। এর আগে মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেটের স্বীকৃতি ছিল না কোনো। মেয়েদের জন্য আলাদা ক্রিকেট কমিটিও গঠন করেছে আইসিসি। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভকে এ কমিটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।