বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফিলিপাইনে এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। বিধ্বস্ত দ্বীপগুলোতে নিরাপদ পানি ও খাবার সরবরাহের চাহিদা বেড়ে গেছে।
ফিলিপাইনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব এমেরিকা।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় টাইফুন রাইয়ের তাণ্ডবের পর নিহতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে প্রথমে ১২ এবং পরে ৩৩ বলে জানানো হয়েছিলো।
ঘূর্ণিঝড় অনেক এলাকার যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়,বহু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, কংক্রিটের বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে দেয় এবং গ্রামগুলিকে প্লাবিত করে। এছাড়া টাইফুন রাই আতঙ্কে বাড়ি-ঘর এবং সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টগুলো থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে গেছেন প্রায় তিন লাখেরও বেশি মানুষ।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিলো, গত বৃহস্পতিবার সিয়ারগাও দ্বীপে আছড়ে পড়া রাই ছিলো মূলত ‘সুপার টাইফুন’। ওই সময় ওই দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল)। আর শুক্রবার সকালে বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার।
এদিকে টাইফুনের আঘাতে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে হতাহতদের খোঁজে তল্লাশি এবং আটকে পড়াদের উদ্ধারে কার্যক্রম জোরদার করেছে ফিলিপিনো প্রশাসন। এ কাজে সামরিক বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের হাজার হাজার সদস্যকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর শেয়ার করা বিমান থেকে তোলা একটা ছবিতে দেখা গেছে জেনারেল লুনার সিয়ারগাও শহরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেখানে বড়দিনের আগে অনেক সার্ফার এবং ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকরা ছিলো। সেখানকার ভবনগুলোর উড়ে গেছে এবং ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ফিলিপাইন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি। প্রতি বছর গড়ে ২০ টি ঝড় এবং টাইফুনের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়, যা সাধারণত ইতিমধ্যে দরিদ্র এলাকায় ফসল, বাড়ি ঘর এবং অবকাঠামো মুছে দেয়।