বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে বাংলাদেশ বরাবরই হতাশ করেছে। তবে এবার নিউ জিল্যান্ডে যে আধিপত্য তারা দেখাচ্ছে, তা অভাবনীয়। আঁটসাঁট নিয়ন্ত্রিত বোলিং কিংবা ব্যাট হাতে ছন্দময় ধৈর্যশীল ইনিংস- সব বিভাগেই দারুণ, দুর্দান্ত।
নিউ জিল্যান্ডের বিশ্বমানের বোলারদের বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে সামাল দিচ্ছেন, তা মন্ত্রমুগ্ধ করেছে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনকে। মুমিনুল হকের দলকে জানিয়েছেন, টুপি খোলা অভিনন্দন।
সুজনের বক্তব্য, ‘রানের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আমরা যত বেশি সম্ভব লম্বা সময় ব্যাটিং করতে চেয়েছি। চেয়েছি খেলা যতটা গভীরে নেওয়া যায়। প্রক্রিয়া ঠিক রেখে বাস্তবায়ন সঠিক ছিল। তাদেরকে হ্যাটস অফ (টুপি খোলা অভিনন্দন)।’
সোমবার (৩ জানুয়ারি) তৃতীয় দিন বাংলাদেশ ১৭৫ রানে শুরু করে। হাতে ছিল ৮ উইকেট। জয় শুরুতেই ফিরে যান। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে নতুন বল নেয় নিউ জিল্যান্ড। কিউই পেসাররা আক্রমণাত্মক বল করতে থাকেন। কিন্তু মুমিনুল আর নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম সেই সুযোগ দেননি। দুজনে ১১২ বল খেলে মাত্র ১৯ রান যোগ করেন। মুশফিক ৫৩ বলে ১২ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। নতুন বলে দুজনের এমন প্রতিরোধ মুগ্ধ করেছে সুজনকে।
সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘নতুন বল নেওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সময় সম্ভব উইকেটে থাকা। ওই সময়ে নিউ জিল্যান্ড দারুণ বল করেছে। আমাদের মারার কোনো সুযোগই দেয়নি। প্রথম কয়েকটা ওভারে জয় ও মুমিনুল স্ট্রাইকই বদলাতে পারেনি। সিঙ্গেলও হচ্ছিল না। আঁটসাঁট লাইন-লেন্থে বল করেছে নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা। মুমিনুল ও মুশফিক ওই সময়টা যেভাবে কাটিয়েছে… দারুণ।’
মুশফিক ফিরলে মুমিনুল এবার জুটি গড়েন লিটন দাসকে নিয়ে। দুজনে হাফ সেঞ্চুরি তুলে পঞ্চম উইকেটে ৩১৭ বলে ১৫৮ রান যোগ করেন। আশির ঘরে গিয়ে ফেরেন দুজনে। মুমিনুল আউট হন ৮৮ রানে আর লিটন ৮৬।
সুজন বলেন, ‘মুমিনুল ও লিটন অনবদ্য ছিল। মুমিনুলের অভিজ্ঞতা লিটনের চেয়ে বেশি। তবে দুজনই দারুণ পার্টনারশিপ গড়েছে। এখন ম্যাচে যে অবস্থায় আছি, এই অবস্থা থেকে আধিপত্য করতে পারব।’
তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪০১ রান। বাংলাদেশের লিড ৭৩ রানের। ১১ রানে ইয়াসির আলী রাব্বি ও ২০ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশকে ভালো শেষ আশা করতে হলে আরো কিছু রান যোগ করতে হবে।