বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে কলেজ ছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করার সময় মুনিয়ার পা দু’টো বিছানার সাথে লেপ্টানো ছিল বলে জানিয়েছেন তার দুলাভাইয়ের বন্ধু জিসান। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার সাথে কথা হয় গণমাধ্যমের।
জিসান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনিয়ার মরদেহ দেখি। তখন তার পা দু’টো বিছানায় ছিল। কিন্তু পা গুলো শুধু বিছানার সাথে লেপ্টে ছিল ছিল। দুই পা দুপাশে ছড়ানো ছিল। ওর পায়ের মাঝখানে একটা টোল ছিল। কিন্তু সেটা খাড়া অবস্থায়ই ছিল। যার কারণে ধারণা করা হচ্ছে, শেষ মুহুর্তে মেয়েটি বাঁচার চেষ্টা করলে টোলটি এভাবে থাকতো না। হয়তো পড়ে যেতো। যার কারণে এটাকে হত্যা বলে ধরা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বলেছে পা ঝুলে থাকার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখা আছে। কিন্তু পা যদি এভাবে ঝুলেও থাকতো তাহলে বিছানায় ছড়ানো থাকতো না। বিষয়টা তদন্তের পর বলা যাবে আসলে কি ঘটেছিল।
মুনিয়ার মৃত্যুকে হত্যা না কি আত্মহত্যা তা স্পষ্ট না উল্লেখ করে জিসান বলেন, তার বাসা থেকে ৪টি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদি সে আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে অনেক কারণ ছিল। ২০২০ সাল থেকে দৈনিক সে সব বিষয় ডায়েরিতে মুনিয়া লিখেছে। তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল।
আনভীরের পক্ষ থেকে মুনিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে জিসান বলেন, মুনিয়া তার বোনকে ফোন দিয়ে বলেছিল তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আনভীরের শত্রু পক্ষের সাথে মুনিয়ার সম্পর্ক আছে বলে তাকে এই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
এদিকে, মুনিয়ার ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে তার মরদেহ কুমিল্লার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।