1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব : ড. আসিফ নজরুল বীরগঞ্জে দারুল হুদা হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ সখিপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করেন সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ নিয়ে আবেগ-অনুভূতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে: মন্তব্য মিঠুনের চিকিৎসার জন্য ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

যে কারণে বাণিজ্য মেলায় বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৭৮ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দেশের তৈরি পণ্যের প্রতি বিদেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও দেশীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে প্রতি বছর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়।

এই মেলার উদ্দেশ্য নিত্য ব্যবহার্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যে সক্ষমতা প্রদর্শন এবং দেশীয় পণ্যের প্রতি বিদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করা।

এ মেলার মাধমে দেশীয় পণ্য বিদেশে রফতানি বাড়বে, অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। বিগত বছর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অস্থায়ী ভেন্যুতে এ মেলা অনুষ্ঠিত হতো। এ বছর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টারে স্থায়ী ভেন্যুতে ২৬ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আসর বসেছে।

তবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রতিবছর বাণিজ্য মেলায় বিদেশি ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের পদচারণা কিছুটা কম। এটি মূলত দেশীয় ক্রেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। প্রচলিত দামের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে হাজারো মানুষের ভিড় জমে এ মেলায়। একসঙ্গে হাজারো ক্রেতা পেয়ে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে।

মেলার ১১তম দিন মঙ্গলবার ঘুরে দেখা গেছে, মেলা উদ্বোধনের প্রথম ৭ দিনের চেয়ে লোকসমাগম অনেকটা বেশি। নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পণ্য সামগ্রী মিলছে এ মেলায়। এ বছর রাজধানীর বাইরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় রাজধানী থেকে আসা লোকজনের চেয়ে নরসিংদী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জসহ আশেপাশের জেলার লোকজনের বেশি সমাগম ঘটছে।

রাজধানী থেকে একটু দূরত্বে এ মেলা হওয়ায় এবং সড়ক ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজধানীর লোকজন খুব কম আসছে এ মেলায়। তবে আশেপাশের লোকজনের সমাগম বেশি ও কেনা-কাটায় প্রাণ ফিরে পাওয়ায় খুশি এখানকার ব্যবসায়ীরা। মেলায় ২২৫ টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হলেও এখনো অনেক স্টল বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। তাছাড়া মেলায় আগত লোকজন নির্দিষ্ট দামের চেয়ে ছাড় দেয়া পণ্যের দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।

ফোস্টার ক্লাক নামক স্টলের দোকানদার অনিক জানান, শুক্রবারের পর থেকে বেচাকেনা একটু বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা বিভিন্ন পণ্যের ওপর ডিসকাউন্ট দিবো। আশা রাখি বিক্রি আরো বেড়ে যাবে।

হামনাহ্ আতর দোকানের মালিক আজিমউদ্দির বলেন, এবারের মেলা পূর্বাচলে স্থায়ী ভেন্যুতে হওয়ায় রাজধানী ছাড়াও গাজীপুর, নরসিংদী, কুমিল্লাসহ আশেপাশের লোকজন বেশি আসতেছে। ঢাকায় কিন্তু এসব এলাকার লোকজন তেমন আসতো না। রাস্তাঘাট ভালো হলে আগামী বছর লোক সমাগম ভালো হবে।

রবি কার্পেট হাউজের দোকানদার শাহীন বলেন, অনেকে জানে না এখানে মেলা হচ্ছে। সে কারণে লোক সমাগম কিছুটা কম। বেচাকেনাও খুব কম। পরবর্তী মেলায় লোকসমাগম বেশি হবে। তখন বেচাকেনাও ভালো হবে আশা রাখি।

বেঙ্গল পাইওনার প্লাস্টিক স্টলের দোকানদার মহিব্বুল ইসলাম খান বলেন, শুরু থেকে ৭ দিন পর্যন্ত বেচাকেনা একেবারেই ছিলই না। তবে এখন বেচাকেনা আগের চেয়ে বাড়তে শুরু করেছে। মেলায় অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে, তারা পণ্য সামগ্রী পছন্দ করলেও দূরত্ব বেশি হওয়ায় না নিয়ে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া মেলায় আগত অনেক লোকজন বিশেষ মূল্য ছাড় দেয়া পণ্যে দিকে ঝুঁকছে।

গাজীপুর থেকে আসা মোস্তফা মোল্লা বলেন, আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেলা বসতো। দূরত্ব বেশি হওয়ায় সেখানে আমাদের যেতে অনেক কষ্ট করতে হতো। এবার পূর্বাচলে মেলা বসায় আমরা খুব সহজে এখানে আসতে পারছি ও কেনা-কাটা করতে পারছি।

আড়াইহাজার থেকে আসার দর্শনার্থী মাসুদ ভূঁইয়া বলেন, বাড়ির পাশে মেলা হওয়ায় অতি সহজে পরিবার পরিজন নিয়ে আসতে পারছি। এছাড়া এখানে পরিবেশ অনেক ভালো। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আশানুরুপ। তবে সন্ধ্যা হলে যানবাহন চালকরা ভাড়া বেশি নিচ্ছে । এমনকি পর্যাপ্ত যানবাহন সড়কে না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

সোনারগাঁও থেকে আসা জসিমউদ্দিন বলেন, মেলার শুরুতে খাবারের দাম বেশি ছিল। মান ছিল খুবই খারাপ। তবে আজকে এসে দেখলাম মেলা কর্তৃপক্ষ খাবারের নির্দিষ্ট তালিকা সম্বলিত ফেস্টুন বিভিন্ন স্থানে দিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে খাবার ও ভালো পাচ্ছি। দামও হাতের নাগালে।

মাসব্যাপী মেলায় এবার দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস সামগ্রী, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে মেলার পরিচালক ও বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলায় লোক সমাগম বাড়ছে। খাবারের মূল্য যাতে বেশি না নেয়া হয় সেজন্য খাবারের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। মেলায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। আগত দর্শনার্থীরা যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। এবার নতুন ভেন্যুতে মেলা সেজন্য লোক সমাগম কম হচ্ছে। তবে আগামী দিনগুলোতে লোকসমাগম বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com