বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বরগুনার পাথরঘাটায় অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন উজালা রাণি পান্ডে আরো একবার পিতৃপরিচয়হীন মা হলেন। এর আগে একবার তিনি পিতৃ পরিচয় হীন পুত্র সন্তানের মা হয়েছিলেন। দ্বিতীয়বারেও তিনি পুত্র সন্তানের মা হলেন। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রসব বেদনার যন্ত্রনা নিয়ে রাত ৯ টায় পাথরঘাটা থেকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাতে সিজার করা হয়।
পাথরঘাটায় মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায়দের নিয়ে কাজ করেন হাসান মেহেদী জানান, পাথরঘাটার ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ এর সহোযোগিতায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে জানিয়ে রাখায়, দ্রুত সিজার করানো সম্ভব হয়। এছাড়াও যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের সহোযোগিতায় আমারা সবাই মিলে বরিশালে নিয়ে আসলে রাতে সিজার করা হয়। নবজাতক সন্তানটির ওজন হয় ১কেজি ২শ গ্রাম। এখন শুধু এটাই চাওয়া ভালো থাকুন নবজাতক সন্তানটি।
এদিকে এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ‘বিচার চাই’ ঐ নরপশুর ’বিচার চাই লম্পটের’ দায়ীদের খুঁজে বের করে নির্মম শাস্তি চাই। এই প্রতিবাদী স্লোগানে উত্তাহ হয়েছে সোশাল মিডিয়া।এখন উপজেলা জুরে একটাই দাবি কোন কুলাঙ্গার এই সন্তানের বাবা তা খুঁজে বের করা হোক।
এবিষয়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বিডি২৪লাইভকে বলেন, পৌরসভায় সবসময় ঘোরাঘুরি করতো এই মানসিক রোগী। এর মধ্যে সে গর্ভবতী হয়ে এর আগেও সন্তান জন্ম দিয়েছিল। তখনও আমরা এই নারীকে ভেলিভারি থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। তবে যারা এ অমানবিক কাজ করেছে তারা মানবতার শত্রু। কতটা নিষ্ঠুর আর নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষ হলে, এমন একজন অসহায় নারীর সঙ্গে যৌন বাসনা চরিতার্থ করে তাকে বিপদে ফেলতে পারে? হরহামেশাই এমন ঘটনা আমরা সমাজে দেখি, যেখানে মা হন পাগলী, কিন্তু বাবা হন না কেউ। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে এমন ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা উচিত। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে কি পরেনা?
সর্বশেষ রির্পোট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে, পরিপূর্ণ বয়স না হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। বর্তমানে ওই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শিশু ইউনিটে নিবির পর্যাবেক্ষণে রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও মা উজালা রাণী আইসিইউতে রয়েছেন।