বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে অন্তত ৩০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার থেকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পর্যন্ত কয়েকভাগে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহরুল হক বলেন, এখন যান চলাচল স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে থাকায় মহাসড়কে গাড়ির জট লেগে যায়। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।
এদিকে, দীর্ঘ যানজটে যাত্রীবাহী গাড়ি ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকে থাকায় চমর ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, শুক্রবার সকালে সড়কের ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় একটি লরি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজের কারণে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
তবে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহরুল হক বলেন, ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কের দুইমুখী লেনে দুটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এক লেক বন্ধ রেখে সড়ক সংস্কার করছে। এতে ওই এলাকায় দুইমুখী গাড়ি এক লেন দিয়ে চলাচল করছে। আর শুক্রবার ছুটির দিনে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন মহাসড়কে যানজট নেই, গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক। তবে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে যান চলাচলে।
কুমিল্লার চান্দিনার সংবাদকর্মী সাদেক হোসেন বলেন, মহাসড়কে সকাল থেকেই তীব্র যানজট। আমি সকাল ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চান্দিনা বাসস্টেশন থেকে বাসে উঠেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌঁছেছি চান্দিনার নূরীতলা এলাকায়। ১০ কিলোমিটার পথ পার হতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী একটি বাসের যাত্রী মাসুদ কামাল বলেন, গৌরীপুর এসে যানজটে পড়তে হয়েছে। গাড়ি কোনো দিকে যায় না। সাড়ে ৩ ঘণ্টার জ্যামে আটকে ছিলাম।
জোবায়ের হোসেন নামে কুমিল্লামুখী আরেক যাত্রী জানান, ভোরে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি। ইলিয়টগঞ্জে এসে তিন ঘণ্টা বাস থেমে আছে। আজ চমর ভোগান্তিতে পড়েছি।
ট্রাক চালক আবদুল মান্নান বলেন, সকাল ৮টায় কুমিল্লা থেকে মাল নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়েছি। প্রায় ৫ ঘণ্টা জ্যামে ছিলাম। চমর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এখনো সড়কে থেমে থেমে জ্যাম আছে। আর গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।