বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: করোনাভাইরাস এবার থাবা বসালো সিংহের শরীরেও। হায়দ্রাবাদের নেহেরু জুওলজিকাল পার্কে মোট ৮টি এশিয়াটিক সিংহ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর মেলায় সংক্রমণের আতঙ্ক বেড়ে গেছে আরও কয়েকগুণ। শুধু তাই নয়, দেশের মধ্যে এই প্রথম একসঙ্গে এতগুলো সিংহ করোনা সংক্রমিত হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারত সরকারের।
জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরেই ওই ৮টি সিংহের শরীরে করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেইমতো পার্ক কর্তৃপক্ষের সিংহগুলোর করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল সেই পরীক্ষার রিপোর্টে তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। যা দেশের মধ্যে এই প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।
নেহেরু জুওলজিকাল পার্কের পশু চিকিৎসক ড. কুক্রেটি বলেন, “সিংহগুলোর আরটি-পিসিআর টেস্টে করোনার জীবাণু মিলেছে তাদের শরীরে। এখনই এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। তবে তারা ভালো রয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে।”
যদিও কীভাবে পশুদের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল সেই বিষয়ে ওই পার্কের পক্ষের এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংক্রমণ রুখতে গত দুদিন আগে পার্কের দরজা জনসাধারণের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পার্কে আগত মানুষজনের থেকে অথবা পার্কে পশুদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কোনও কর্মীর শরীর থেকে ওই সংক্রমণ সিংহের দেহে ছড়িয়ে থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই ওই পার্কের দায়িত্বে থাকা ২৫ জন কর্মীর দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে। তাদের দেহ থেকেই কোনওভাবে পশুদের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পার্ক কর্তৃপক্ষ৷। যদিও ওই সিংহগুলোর দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রোনক্স চিড়িয়াখানার মোট ৮টি বাঘিনী ও সিংহের শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল।
দ্যা ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির পরিচালনাধীন ওই চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, একই প্রজাতির চার বছর বয়সী ৬টি মালয়েশিয়ান বাঘিনী ও সিংহের শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। এছাড়াও জাপানের হংকং-এ কুকুর ও বিড়ালের শরীরে করোনার জীবাণু মিলেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, করোনার সেকেন্ড ওয়েভে দিশেহারা গোটা ভারত। এখনও পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ করোনা সংক্রমিত। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই অবস্থায় ভারতের মধ্যে এই প্রথম পশুদের শরীরে মারণ ব্যাধির লক্ষণ মেলায় সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। সূত্র: কলকাতা২৪