ডেস্ক: দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে বিদেশ থেকে ২ জাহাজে করে এসেছে ২৯ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এছাড়া আরও ৪৩ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে আগামী শনিবার আরেকটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা রয়েছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আমদানিকারক সূত্রে জানা যায়, জাহাজ থেকে এসব তেল খালাস করে প্রথমে পতেঙ্গার ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হবে। এরপর শুল্ক কর পরিশোধ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় পরিশোধন করবে। এরপর সব প্রক্রিয়া শেষ করে তেল বাজারে ছাড়তে ১৫ দিন থেকে ১ মাস লেগে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ ‘এমটি লুকাস’ নামে একটি মাদার ট্যাংকার এনেছে ১২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন। এর মধ্যে টিকে গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল এনেছে ৪ হাজার টন, আর সুপার অয়েল রিফাইনারি এনেছে ৮ হাজার টন। এছাড়া ১২ মার্চ বহির্নোঙরে আসা ‘এমটি প্যাসিফিক রুবি’তে এসেছে ১৭ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এর মধ্যে রয়েছে মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারির ৭ হাজার টন সিটি এডিবল অয়েলের ১০ হাজার টন।
তিনি জানান, বন্দরে এখন নিয়মিত তেলবাহী জাহাজ আসছে। সর্বশেষ ১১ ও ১২ মার্চ তেল নিয়ে দুইটি জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে। এসব জাহাজে ২৯ হাজার টন সয়াবিন তেল আছে। ওই দুটি জাহাজ থেকে তেল খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, দেশের বেসরকারি সয়াবিন তেল রিফাইনারি ও বাজারজাতকারী শিল্পগ্রুপ টিকে, সিটি, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, মেঘনা এবং সেনা এডিবল অয়েলের ৭৫ হাজার মেট্রিকটন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল চট্টগ্রামে আসছে। এর মধ্যে আজ দুটি জাহাজ থেকে ৩২ হাজার টন তেল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি একটি জাহাজ ৪৩ হাজার টন তেল নিয়ে বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বাজারজাত হয়েছে গত দুই মাসে এক লাখ ৬৯ হাজার টন। ট্যাংক টার্মিনালে আগের মজুত থাকায় আমদানির চেয়ে বেশি পরিমাণ তেল বাজারজাতের জন্য খালাস করতে পেরেছে কোম্পানিগুলো।