বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পর্যটন খাত ও প্রবাসী আয় ধাক্কা খাওয়ায় সম্প্রতি দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এমন অবস্থায় দেশটিতে মারাত্মক অর্থনৈতিক ও জ্বালানি-সংকট তৈরি হয়েছে। হাজারো মানুষ ফিলিং স্টেশনের সামনে কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। মুদ্রা বিনিময় সংকটের কারণে আমদানি বিধিনিষেধ থাকায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কাছে আরও ২৫ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সুবিধা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগেও, বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে একই ধরনের সুবিধা দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কান ডেইলি মিরর অনলাইন এ খবর দিয়েছে।
জানা গেছে, এটি দুই দেশের মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ ব্যবস্থা বা মুদ্রা বিনিময় প্রথায় হবে।
এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসের অনুরোধে চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটিকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ।
এদিকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য ভারতের কাছ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন ঋণসীমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। স্থানীয় সময় সোমবার দ্বীপরাষ্ট্রটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।