বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন অমিক্রনের একটি উপধরন বিএ.২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনার এই ধরনই দাপট দেখাচ্ছে। শনাক্ত নমুনার মধ্যে ৮৬ শতাংশই এই উপধরনে আক্রান্ত।
জানুয়ারির শুরু দিকে এই উপধরন প্রথম শনাক্ত হয়। অমিক্রনের অতিসংক্রামক সহোদর বিএ.১ ও বিএ.১.১-এর চেয়ে বেশি সংক্রামক উপধরনটি।
বিএ.২ উপধরনটি শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন হওয়ায় এটিকে ‘স্টিলথ ভেরিয়েন্ট’ বলা হয়। সাধারণ পিসিআর পরীক্ষায় বিএ.১-এর একটি অনুপস্থিত জিনই স্বাভাবিকভাবে এই উপধরন শনাক্ত করে দেয়।
গবেষণা অনুযায়ী, যদিও অমিক্রনের অন্যান্য উপধরনের চেয়ে বিএ.২ বেশি সংক্রামক, তবে এটি মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি করে না বলে এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রমাণাদিতে জানা গেছে।
অন্যান্য অমিক্রন ধরনের মতো বিএ.২- ধরনের বিরুদ্ধেও টিকা কম কার্যকর। সময় গড়ালে সুরক্ষাও কমতে থাকে। অবশ্য ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, বুস্টার ডোজ নিলে সুরক্ষা অটুট থাকে। বিশেষ করে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায়।
কেউ অমিক্রনের বিএ.১ ধরনে আক্রান্ত হলে পরবর্তী সময়ে তিনি বিএ.২-তেও আক্রান্ত হতে পারেন কি না, এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে কিছু দেশে সংক্রমণ ‘ডাবল পিক’-এ পৌঁছানোয় এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্ক থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, যেখানে ডেলটার মতো করোনার অন্য ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অমিক্রনে পুনরায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানে বিএ.১-এ আক্রান্ত লাখো মানুষের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন বিএ.২ উপধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে বিএ.১ সংক্রমণের উল্লম্ফনের জন্য জনসমাগমে স্বাস্থ্যবিধি তুলে নেওয়াকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। জন হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভাইরোলজিস্ট অ্যান্ড্রু পিকোস বলেন, ‘বিএ.২ উপধরনের ক্ষেত্রেই কেবল এটি হতে পারে যে তখনই এটি ছড়াচ্ছে, যখন এসব মানুষ মাস্ক পরা বন্ধ করে দিয়েছে।’
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ইতিমধ্যে চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ে দুই দফায় ৯ দিনের বেশি লকডাউন জারি করা হয়েছে। এতে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে শিগগিরই মুক্তির আশা ফিকে হচ্ছে।