বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরা তাদের ভিন্ন ধরনের কাজ এবং রীতিনীতির জন্য অন্যদের থেকে আলাদা। যার অনেক কিছুই আমাদের কাছে একেবারেই স্বাভাবিক নয়। আমাদের কাছে যা অস্বাভাবিক সেগুলোই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটা করে পালন হয়। আমাদের দেশে যৌন ব্যাপারটা একটু রাকঢাক থাকলেও বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে। যেখানে এটি খুবই খোলামেলা ব্যাপার।
নানান দেশে এই ব্যাপার নিয়ে আছে নানান রীতি এবং প্রথা। আফ্রিকার এক দেশ আছে যেখানে কুমারী মেয়েদের কখনো বিয়ে হয় না। বয়ঃসন্ধি শুরু হলেই তাদের থাকতে হয় গ্রামের অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গে।
তাদের কাছ থেকে শিখতে হয় যৌনজীবনের খুঁটিনাটি। যে মেয়ে যত বেশি পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে পাত্রী হিসেবে তার কদরই সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মেয়েদের বাবা গিয়ে পিতৃসম পুরুষের কাছে মেয়েকে দিয়ে আসেন।
বিশ্বের আরো এমন আরো দেশের কথা। যাদের যৌনরীতি সম্পর্কে জানলে চোখ আপনার কপালে উঠবে। চলুন জেনে নেই..
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত খাইবার – পাখতুখোয়া প্রদেশে আছে হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণি, একে গ্রীকরা বলতেন ককেশাস ইণ্ডিকাস। সেই হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণির দুর্গম এলাকায় বাস করে এক স্বাধীনচেতা প্রাচীন শেতাঙ্গ জনজাতি। যাদের নাম কালাশ।
এদের চুলের রং সোনালি এবং চোখের মণি নীল। এই জাতির মানুষগুলোর সঙ্গে পাকিস্তানের মানুষদের চেহারা, ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা ও খাদ্যাভাসের বিন্দুমাত্র মিল নেই। কালাশদের দেখলে মনে হবে তারা ইউরোপের মানুষ। এই কালাশদের সমাজে একটি অদ্ভুত রীতি আছে । ছেলেদের বয়স পনেরো বছর হলেই , গ্রীষ্মকালে ভেড়ার পাল দিয়ে ছেলেটিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বরফ ঢাকা উচু পাহাড়ে।
পাহাড়ের গুহায় নিজের আশ্রয় খুঁজে নিতে হয় কিশোরকে। খুঁজে নিতে হয় জলের উৎস। কেবলমাত্র ভেড়ার দুধ বা ঝলসানো মাংস খেয়ে কিশোরটিকে বেঁচে থাকতে হয় মাসের পর মাস। একটি কিশোরের পক্ষে ওই দুঃসহ পরিবেশ ও আবহাওয়ায় টিকে থাকা খুবই কঠিন । শীতকাল আসার আগে অবশিষ্ট ভেড়াগুলোকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসতে হয় কিশোরটিকে । কেউ বেঁচে ফেরে কেউ ফেরে না ।
যে কিশোর গ্রামে ফিরে আসে, তার সাবালকত্ব লাভ করাকে উদযাপন করার জন্য গ্রামে শুরু হয় বাদুলাক উৎসব। উৎসবের শেষে গ্রামের যেকোনো বিবাহিত বা অবিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌনমিলন করার সুযোগ দেয়া হয় কিশোরটিকে। গ্রামের নারীরাও মুখিয়ে থাকেন সদ্য সাবালক হওয়া কিশোরটির সঙ্গে যৌনমিলন করার জন্য।
পছন্দ করা নারীকে নিয়ে কিশোরকে চলে যেতে হয় গ্রামের বাইরে। সেখানে থাকা একটি বাড়িতে উদ্দাম যৌনমিলনে মেতে ওঠে দুজন। যতদিন কিশোরের খুশি ততদিন সে চালাতে পারে তার প্রথম যৌন সম্পর্ক। ফলে প্রায় সারা শীতকালই উষ্ণতায় কাটায় সদ্য সাবালক হওয়া কিশোরের। শীত কমলে ফিরে আসে গ্রামে।
পাপুয়া নিউগিনি প্রশান্ত মহাসাগরে সাড়ে চারশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে ট্রোবায়ান্ড দ্বীপমালা । পাপুয়া নিউগিনির অন্তর্গত এই দ্বীপগুলোতে বাস করে ট্রোবায়ান্ডার নামের এক উপজাতি। কিলিভিলা ভাষায় কথা বলে তারা। ঘন জঙ্গলের মাঝে থাকা। উর্বর সমতল জমিতে চাষাবাদ করে থাকে। সেই ফসল ট্রোবায়ান্ডাররা বেচে আশপাশের দ্বীপগুলোর মানুষকে।
কুলা ‘ নামে এক ধরনের ঝিনুকের চকচকে খোলাই এদের কাছে টাকা। এই কুলার বিনিময়েই চলে এদের বাণিজ্য। অত্যন্ত অল্প বয়সে এই উপজাতির ছেলেমেয়েরা প্রবেশ করে যৌনজীবনে। ছেলেরা দশ – বার বছর এবং মেয়েরা পাঁচ বছর বয়সেই জড়িয়ে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে।
বয়স্কদের সামনে দিয়েই বালক বালিকারা দল বেঁধে জঙ্গলে চলে যায় যৌনমিলন করতে। কেউ বাধা দেয় না তাদের । সব চেয়ে অবাক করা তথ্য , এইটুকু বয়সেই তারা তাদের ইচ্ছে মতো যৌনসঙ্গী নির্বাচন ও পরিবর্তন করতে পারে। শুনলে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এই কাজের জন্য তাদের কোনো শাস্তি পেতে হয় না । কারণ ট্রোবায়ান্ডারদের সমাজ যৌনতাকে খাবার খাওয়ার মতোই স্বাভাবিক ও বাধ্যতামূলক বলে মনে করে।