বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : দেশে এখন প্রায় ১০৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালুর অনুমতি দিয়েছিলো উচ্চ শিক্ষাকে সহজলভ্য ও সার্বজনীন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে। লক্ষ্য ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বমহিমায় বিকশিত হোক। ১৯৯২ সাল থেকে আজ এই ২০২২ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। কিন্তু কয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় বানিজ্যের উর্ধ্বে উঠে অলাভজনক বিবেচনায় কাজকর্ পরিচালনা করছে? এমন প্রশ্ন এখন সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ওগুলোর বিষয়ে যথারীতি তদন্ত করেছে, করছে এবং করবেও। তিনি ফলাফল কি? বলতে গেলে শূন্য। ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৬ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সীদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কি দেখা গেল? একমাত্র দারুল এহসান ইউনিভার্সিটি ব্যতিত বাকী ৫ টি আবারো উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে মাঠে ফিরে এসেছে এবং যথারীতি বিবিধ অনিয়মেও জড়িয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি ইউজিসি আবারো বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত বিবিধ অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে। অভিযোগুলো একেবারেই কমন যেমন : আর্থিক দুর্নীতি, তহবিল তছরুপ, উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ না দেওয়া, মালিকানা/ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, জাল সনদ বিক্রি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে মালিকদের বিবিধ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, বিদেশে অর্থ পাচার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনি) -২০১০-এ উল্লেখিত বিধিবিধান না মানা ইত্যাদি। তদন্তকাজ পরিচালনার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ইতিমধ্যে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
ইউজিসি মোট ২৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত নামছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বঙ্গনিউজবিডির শিক্ষাঙ্গন রিপোর্টার বিবিধ সোর্স থেকে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যে-সব অভিযোগের তথ্য পেয়েছে সে-সব এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য তদন্ত কমিটির কাজ সহজসাধ্য হোক। আর শিক্ষার্থী অভিভাবকবৃন্দ সতর্ক হোক। নিম্নে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হলো।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি : ট্রাস্টি বোর্ডের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় তারা বিলাশ বহুল গাড়ি বাড়ি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় প্রমোদ ভ্রমণ সিটিং এলাউন্স গ্রহন, নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে নাই অর্থের বিনিময়ে এমন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি, কারো কারো বিরুদ্ধে নারী শিক্ষক শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক আচরণের অভিযোগও আছে।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় : প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ নূরুল ইসলামের মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে ৩ পুত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব, নিজস্ব ক্যাম্পাস তেরী না করে রেলওয়ের জমি দখলে রাখা, প্রতিষ্ঠা লগ্ম থেকে ট্রেজারার নিয়োগ না দেওয়ার ফলে আর্থিক অনিয়মের সম্ভাবনা থাকা ইত্যাদি।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ : ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জাল দলিলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামালায় নর্দান ইউনিভার্সিটির মালিক আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে গত ১০ জানুয়ারি, ২০২২ পুলিশ গ্রেফতার করে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যও ছিলেন এক সময়। তাছাড়া খুলনায় অবস্থিত অপর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকও তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি শিখবে????
ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম : বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার শফিউর রহমানের নেতৃত্ব গঠিত জি-৯ নামক একটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে বসে আছে দীর্ঘদিন যাবৎ। যাদের কাজ হলো প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত যে কোন সীদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করা। নতুন ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত চিন্তাধারায় পরিচালিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু রেজিস্ট্রার শফিউর রহমানের নেতৃত্ব মোস্তাক খন্দকার, আতাউল্লাহ, মাহমুদুল আলম, মো. আমান উল্লাহ, সরওয়ার আজম ফারুকী, মামুনুর রশীদ, এরশাদুল হক, মোহাম্মদ ইদ্রিস চৌধুরী গং ঐসব সীদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিরাট বাধার সৃষ্টি করে আসছে প্রতিনিয়ত। এমনকি বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষীয় কাউকে নিয়োগের সীদ্ধান্ত নিলে তারা সেটা বাস্তবায়ন করতে দেয় না। এই গ্রুপটি ২০১৩-২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে সীতাকুণ্ড মহাসড়কে মাসের পর মাস সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি : বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বৈধ উপাচার্য ও ট্রেজারা নাই। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলা বিভিন্ন কোর্স কারিকুলাম ও প্রোগ্রাম যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপডেট করা হচ্ছে না।
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি : বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক মেসবাহ কামাল তাদের বহিষ্কার করেন। এই অভিযোগ দূর্নীতিগ্রস্থ ট্রাস্টি বোর্ড উপাচার্যকেই ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করে এবং বহিষ্কৃত শিক্ষকদের পূনঃনিয়োগ দেয়।
স্ট্যান্ডর্ড ইউনিভার্সিটি : বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ঠিক পাশেই একটি ২০ তলা বানিজ্যিক ভবনের ২-৩টি ফ্লোর নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থী সংগ্রহে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে দীর্ঘদিন যাবৎ। বিজ্ঞাপনে তারা বলছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে চাকুরী নিশ্চিত। অর্থাৎ করপোরেট হাউস স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের, পাশ করার পর। বিষয়টি নিয়ে আশপাশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি উত্থাপন করতে শুরু করেছে। তারা বলছেন, আমরা যারা করপোরেট হাউজের মালিক নই, আমাদের শিক্ষার্থীরা কি তাহলে বেকার থাকবে? ২০ তলা ভবনটির বেসমেন্টে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির টেক্সটাইল ল্যাব, যা মূলতঃ গাড়ী পার্কিং স্পেস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। হেভি মেশিনগুলোর ভাইব্র্যাশন কিংবা বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট সংক্রান্ত কোন গোলযোগ সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী শুধু নয় বানিজ্যিক ভবনটিতে কর্মরত ৫-৬শত চাকুরিজীবীর জীবন সংশয়ের আশঙ্কা দেখা দিবে বলে মনে করছেন ভবন বিশারদগন। এ এন এন নেওয়াজ কাদের স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির ট্রেজারারের দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্মলগ্ন থেকে। যেহেতু তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেহেতু তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর শর্ত ভঙ্গকারী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থেকে। তাছাড়া যেহেতু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা কোনটাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদের জন্য উপযুক্ত নয় সেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কর্তৃক উক্ত পদে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে ইতিপূর্বে । তারপরও তিনি উক্ত পদ আঁকড়ে ধরে আছেন এবং বিবিধ আর্থিক বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে চলেছেন। সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত অডিট ফার্ম অবশ্যই এতে আপত্তি জানানোর কথা, আদৌ যদি ইতিমধ্যে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি : এশিয়ান ইউনিভার্সিটির মালিক মাওলানা আবুল হাসান মোহাম্মদ সাদেক-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন অন্ত নাই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো (১) যুদ্ধাপরাধ : ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিরোধী অনুষ্ঠান “জীবনের আলো” পরিচালনা করা। বাবা মাওলানা খালেকের নেতৃত্বে সাদেক ও তার ভাই ফারুক নিজ এলাকা নরসিংদির পীরপুরে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড যুক্ত থাকা। (২) মানি লন্ডারিং : বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং দেশে ১০০ বিঘার মতো জমি ক্রয় ও বেশ কিছু ফ্ল্যাট ক্রয়। (৩) জাল সনদ বিক্রি : ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা (ইউজিসি’র চাপে পড়ে ঢাকার বাইরের ক্যাম্পাস অধুনালুপ্ত) করে প্রচুর একাডেমিক সনদ বিতরণ। (৪) অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত : তার অনৈতিক কর্মকান্ডের সাক্ষী আনাস সাদেক ও সুমাইয়া সাদেক। (৫) চাকুরেদের উপর নির্যাতন : মাওলানা সাদেক তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরিরতদের বেতন ভাতা যৎসামান্য দিয়ে থাকেন। তারপরও যারা তার অবৈধ কাজে সহায়তা করে রাজি হয় না তাদেরকে যখন তখন ছাটাই করে। ইতিপূর্বে ছাটাইকৃত বেশ কয়েকজন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে ঢাকা জর্জ কোর্ট ও হাইকোর্টে কোর্টে ৮-১০ টি মামলা করেছেন। ওগুলো এখন চলমান।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাস্তব বিবেচনায় ২০২২ সালে সর্বপ্রথম সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত বৈধ উপাচার্য ও ট্রেজারার পেল। জনশ্রুতি রয়েছে যে তাঁরা মাওলানা সাদেকের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন না।
ইউজিসি বর্তমানে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাদেক কর্তৃক ইস্যুকৃত একাডেমিক সনদসহ অন্যান্য অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে। তবে ভুক্তভোগীরা এই মর্মে হতাশায় ভুগছেন যে মাওলানা সাদেকের হিমালয়সম অর্থের ধাক্কায় সবকিছু না আবার উলটপালট হয়ে যায়।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে কোন কোন সাবজেক্টে নির্ধারিত আসনের চাইতে অনেক বেশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশকিছু ইন্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট পড়ানো হচ্ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক ল্যাব নাই। সিলেবাসও আপডেট করা হয় নাই দীর্ঘদিন যাবৎ।
মানিকগঞ্জের এপিআই বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন যাবৎ। সাবজেক্টগুলোতে পাঠদানের জন্য সিনিয়র শিক্ষক একজনও নাই।
ফরিদপুরের টাইমস্ বিশ্ববিদ্যালয় এবং চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় দুটি বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, হয়তো কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে চলছে না।তাই ইউজিসি তদন্ত করে দেখছে। ইউজিসি’র চেয়ারম্যান ড. কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা অভিযোগ জমা পড়ে আছে। গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগগুলোর বিষয়ে ইউজিসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই সব বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনে চলুক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।