বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : স্বামী সংসার থাকার পরও দেবরের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে, সবশেষে মৃত্যু। এমনই ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর জেলায়। স্বামীকে ছেড়ে দেবরকে বিয়ে করায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী শহরবানু। ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন সাবেক স্বামী খোকন আলী শেখ। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহরবানু পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে। খোকন আলীর বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার মেহের আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩০ বছর আগে খোকনের সঙ্গে শহরবানুর বিয়ে হয়। খোকন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন। স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকায় তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন ছোট ভাই ফকির আলী শেখ। সেই সুবাদে দেবরের সঙ্গে ভাবির সখ্যতা গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুজনে পালিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর শহরের সিরাজ মোল্লার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে নতুন সংসার পাতেন তারা।
বিষয়টি জানতে পেরে রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুরে ছোট ভাইয়ের ভাড়া বাসায় ওঠেন সাবেক স্বামী খোকন। এরপর স্ত্রীকে নানাভাবে বুঝিয়ে ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শহরবানুকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে পালানোর সময় আশপাশের লোকজন খোকনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পারিবারিক বিরোধ ও পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাবেক স্বামী খোকন আলী শেখকে আটক করা হয়েছে।