বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু একটি ফল হচ্ছে আম। স্বাদে আমকে টেক্কা দিতে পারে এমন ফল কমই আছে। তাই গ্রীষ্ম এলেই বাজারে হিমসাগর থেকে গোলাপখাস, সব রকম আমের কদর ও দর দুই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় বাঙালি।
তাই বলে যে ক্রেতাদের কাছে আমের চাহিদা কমে যায় তা কিন্তু নয়। দাম বাড়লেও বাঙালিদের মধ্যে আম খাওয়ার প্রবণতা কমতে দেখা যায় না।
শুধু কি স্বাদ! গুণের দিক থেকেও কিন্তু অন্যান্য ফলকে রীতিমতো টেক্কা দিতে পারে আম। বিশেষ করে নারীদের জন্য আম কিন্তু বিশেষ ভাবে উপকারী। পেট থেকে ত্বক-চুল বিভিন্ন সমস্যা মেটানোর জন্য আমের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।
পুষ্টিবিদদের মতে, আমের শাঁস থেকে আঁটি পুরোটা থেকেই উপকার মেলে।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গরমকালে নারীদের বেশি বেশি আম খাওয়া উচিত কেন-
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি, সেই সঙ্গে ফাইবার। রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে আম। তাই পরিমাণ বুঝে নিয়মিত আম খান।
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
আমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে আম। গরম পড়তেই মারণরোগের ঝুঁকি কমাতে রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন আম।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে
মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’-র চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশের জোগান দিতে পারে আম। ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। আম দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের যত্নেও দারুণ ভূমিকা পালন করে আম। আমের আঁশে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। আম বাটা মাখলেও ত্বকের রোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়। গরমে ত্বকের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন আমে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
যারা হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন, গরমে সুস্থ থাকতে আম খেতে পারেন। আমে রয়েছে উপকারী উৎসেচক, যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে খেলে উল্টো ফল হতে পারে।