1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) উপ-পরিচালকের মতবিনিময় দাউদকান্দিতে গোল্ডেন ফিউচার একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরন নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় কারারক্ষী নিহত প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারসহ ১৬ জনকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মেলায় পাওয়া যাচ্ছে শেকড় সন্ধানী লেখক ও সাংবাদিক শরীফ প্রধানের ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিকতা’ বই জাতীয় প্রেস ক্লাবে কবিতাপত্র পরিষদের নিয়মিত কবিতা পাঠের আসর জামালপুর শহর সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার – দ্রুত নির্বাচন দেন, না হয় গণতন্ত্রমনা মানুষ রাজপথে নামবে’ ড. রেদোয়ান আহমেদ কৃষকদের উন্নয়ন ছাড়া সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব নয়- আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় প্রচারিত সংবাদ দেখে ছেলের বিরুদ্ধে মা আঙেঁচ বেগমের সংবাদ সম্মেলন

জুনেই জেলা কাউন্সিল শেষ করতে চায় বিএনপি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০২২
  • ৫২২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আন্দোলনকে সামনে রেখে পুরোদমে দল গোছাচ্ছে বিএনপি। মহামারী করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আন্দোলন কর্মসূচি ফের চাঙ্গা করতে চায় দলটি। অন্য দিকে বিএনপি কূটনৈতিক তৎপরতাও জোরাল করছে। নির্বাচনের আগে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দলের বৈদেশিক কমিটি হোম ওয়ার্ক করছে। দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে ফের মাঠে নামতে চায় বিএনপি। ইতোমধ্যে রমজান মাসে ইফতার মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তৃণমূলকে উজ্জীবিত করার প্রয়াস চালিয়েছে দলটি। প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দলের সাংগঠনিক ভিতকে মজবুত করছে। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাংগঠনিক সব কমিটি ঢেলে সাজানোর কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জুনের মধ্যে তৃণমূল সম্মেলন শেষ করতে চায় দলটি। এরই মধ্যে শতাধিক উপজেলায় সম্মেলন হয়েছে। চলতি মে মাসে জেলা সম্মেলন শুরু এবং জুনের মধ্যেই তা শেষ করতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। তবে বেশকিছু জেলায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকায় সময়মতো কাউন্সিল নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বলে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপির দফতরের তথ্য মতেÑ সারা দেশে দলের ৮১টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৪টিতে পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। ১২ জেলায় আংশিক আহ্বায়ক কমিটি আছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি তাদের অধীন সাংগঠনিক ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা করেছে। গত ২০ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ এবং সম্প্রতি বরিশাল জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আগামী ১৭ মে ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুর মহানগর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার কাউন্সিল মে মাসে এবং চলতি মাসের মধ্যে আরো কয়েকটি জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হবে।

জানা গেছে, আগামী দিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরির কাজ করছে বিএনপি। জোটের বাইরে থাকা অনেক রাজনৈতিক দলের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তারা ডান-বাম এবং সমমনা সব রাজনৈতিক দলকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। অবশ্য সেই বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়া গেল গত ২৭ এপ্রিল নাগরিক ঐক্যের ইফতার মাহফিলে। সেখানে ডান-বাম বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা এক টেবিলে ইফতার করে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়াসহ বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে একই সুরে বক্তব্য দিয়েছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি সংগঠন গোছাতে মনযোগ দেয়। সেইসাথে বিভিন্ন জনস্বার্থ ইস্যুতে রাজপথে একাধিক লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। আগামীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন এবং সেই দাবিতে আন্দোলনের লক্ষ্যে জুনের মধ্যে তৃণমূল পুনর্গঠন শেষ করতে চায় বিএনপি।

বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা প্রায় ৬০-৭০ ভাগ উপজেলা সম্মেলন শেষ করেছি। অবশিষ্ট উপজেলা সম্মেলন দ্রুত শেষ করা হবে। আশা করছি জুনের মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা সম্মেলন শুরু ও শেষ করতে পারব। তিনি বলেন, দল পুনর্গঠন ও আন্দোলন একইসাথে চলবে। কেননা দল পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া।

এ দিকে যোগ্যদের নিয়ে কমিটি করার দাবি জানিয়েছে ঢাকা জেলা বিএনপির বিরাট একটি অংশ। গত শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, বিভিন্ন উপজেলা, থানা, পৌরসভার কাউন্সিল ও কমিটি গঠনে ঢাকা জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাচারী মনোভাব, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছে। আমরা দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি পুনর্গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির দায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিতে হবে। তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আবেদ হোসেন, দোহার থানা বিএনপির নূরুল ইসলাম ব্যাপারী, শাহিন খন্দকার, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর খালাসী, আবদুর রশিদ, ঢাকা জেলা যুবদলের নাজিম উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি রেজাউল কবির পল, সেক্রেটারি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, যুবদল নেতা ফজলুল হক বেলায়েতি, তপন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম রফিক, জি এম আরিফুর রহমান সুজন, এস এম রাসেল, ঢাকা জেলা বিএনপির মনির হোসেন রানা, আব্দুল আউয়াল আকন্দ, যুবদলের শরিফ হোসেন, ডালিম, নজরুল ইসলাম খান, মহিলা দলের সায়মা ইসলাম, মিঠু ব্যাপারী, পাপ্পু ও রাকিবুজ্জামান রাকিব প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়Ñ ঢাকা জেলা বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দলের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটে তাদের অনুসারীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করছে। দোহারে নয়, নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপায় নিজ গ্রামে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের বাড়িতে দোহার থানা ও পৌরসভা বিএনপির কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই দিনে একই স্থানে, একই অতিথি নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা, দোহার থানা ও পৌরসভার কর্মী সম্মেলন হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাভার থানা ও পৌরসভা এবং আশুলিয়া থানায়। হারুনুর রশিদ উসমানি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক চাচ্ছেন যেনতেনভাবে উপজেলা, থানা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি গঠন করে সেই কমিটির মাধ্যমে জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করতে। যাতে তারা আবারো নিজ নিজ পদে বহাল হতে পারেন। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে, তাদের এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে দলের শত শত নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ঢাকা বিভাগে ১১ টি সাংগঠনিক ইউনিট আছে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার সম্মেলন হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ঢাকা জেলা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সম্মেলন মে মাসে হবে। যত দ্রুত সম্ভব তারা জেলা সম্মেলন শেষ করবেন বলে জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, করোনার কারণে দুই বছর পর ফের ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে সবার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারিং হলো এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হয়েছেন। আশা করা যায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী ভালো কিছু পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com