দেশের সবগুলো তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়ে রোববার (২২ মে) এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সুসংহত রাখতে অত্যাবশ্যক নয় এমন বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ/ সভা/ সেমিনার/ ওয়ার্কশপ/ স্টাডি ট্যুরের নামে বিদেশ ভ্রমণ অব্যাহত থাকায় এক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রার ব্যবহার বেড়ে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ সীমিত করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ১৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জরুরি উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো ধরনের বিদেশ সফর করতে পারবেন না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে সরকার গত ১১ মে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যেগুলোতে আমদানি প্রয়োজন সেগুলো বাস্তবায়ন স্থগিত করে।
১৬ মে অর্থ বিভাগ জানায়, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, আধা-সরকারি সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন না।