বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ ইউক্রেনীয় সেনা সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে সমান তালে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনের শত শত পশ্চিমা আর্টিলারি সিস্টেমের প্রয়োজন।
মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার ব্যাপারে কিয়েভ প্রস্তুত নয় বলেও জানান পদোলিয়াক।
রাশিয়ান বাহিনী পুরো ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করায় ইউক্রেনীয় সেনারা নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।
পদোলিয়াক বলেন, যুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনী অ-পারমাণবিক সবকিছু যেমন ভারী কামান, একাধিক রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরও অস্ত্রের আবেদন পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সমতা না থাকায় ইউক্রেনের হতাহতের হার অত্যন্ত বেশি।
পদোলিয়াক বলেন, আমাদের আর্টিলারির দাবি কেবল এক ধরনের আকাঙ্ক্ষা নয়…যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির জন্য এটি নিশ্চিতভাবে প্রয়োজন।
রাশিয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ইউক্রেনের ১৫০- থেকে ৩০০টি রকেট লঞ্চার সিস্টেম প্রয়োজন। দেশটি এখন পর্যন্ত যতটি পেয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি।
পদোলিয়াক আরও বলেন, শান্তি আলোচনা কেবল তখনই আবার শুরু হতে পারে যদি রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ করার পর দখল করা ভূখণ্ড হস্তান্তর করে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ ইউক্রেনীয় সৈন্য মারা যাচ্ছে, যা আগের ধারণার চেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেন, ইউক্রেন প্রতিদিন ১০০ সৈন্য হারাচ্ছে এবং আরও ৫০০ জন আহত হচ্ছে।
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও রেজনিকভ দাবি করেন, বিপুল সংখ্যক রাশিয়ান সৈন্যও নিহত হচ্ছে।
একইভাবে লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সের্গেই গাইদাই বলেন, রাশিয়ানরা ‘মাছির মতো মারা যাচ্ছে’। কিন্তু তিনি পদোলিয়াকের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ইউক্রেন আর্টিলারির মারাত্মক অভাবের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি