বগুড়ার শেরপুরের নওদাপাড়া গ্রামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ২২ জুন বুধবার সকালে হাফিজুর রহমান (৩৫) নামের এক তরিকাভক্তের মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল ইসলাম বাবু সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিন ডাক্তারের ছেলে হাফিজুর রহমান তার ভাগিনা সাখাওয়াতকে নিয়ে গত ২১ জুন মঙ্গলবার একই ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। দাওয়াত খেয়ে ওই বাড়িতে রাত্রি যাপন করে। ২২ জুন বুধবার সকাল ৭ টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য রবিউল ইসলাম বাবুর নের্তৃত্বে মিস্টার, আনোয়ার হোসেন, আবুল হোসেন, নয়ন হোসেন ও রায়হান হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতর থেকে ডেকে এনে সাইফুলের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে হাফিজুর রহমানকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে এসে মারধর করে এবং সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিতে চায়। সাদা কাগজে স্বাক্ষর না দেয়ায় তারা হাফিজুরের মাথার চুল কেটে দেয় এবং তার কাছে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা, একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল, স্বর্নের চেন ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল ইসলাম বাবু।
স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান, বাবুসহ কয়েকজন এসে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার মামা শশুড়কে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়ে যে সম্মানহানী করেছে তার আমি বিচার চাই।
হাফিজুর রহমান জানান, আমি আমার ভাগ্নির বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে ওই গ্রামের কয়েকজন আমাকে সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে মারধর করে। এবং মাথার চুল কেটে দিয়েছে।
রবিউল ইসলাম বাবু জানান, আমরা চুল কাটিনি, কোহিনুরের স্বামী সাইফুল চুল কেটছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।