কন্যা সন্তান হয়ে জন্ম নেয়ায় পিতার ফেলে রেখে যাওয়া সন্তান মমতা খাতুনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব তুলে নিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।
মমতার পড়ালেখার জন্য মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দশ হাজার নগদ টাকা প্রদান করেন। সেই সাথে মাসিক বৃত্তির প্রদানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর পাল।
জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার ফাঁপোর ইউনিয়নের বেলগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মা মঞ্জুয়ারা বেগম ও পিতা রমিজ উদ্দিনের কন্যা মমতা খাতুন। ২০ বছর আগে জন্মের পরই কন্যা হওয়ার কারণে পিতা রমিজ উদ্দিন অজানার উদ্দেশে চলে যায়। তার কোনো খোঁজ খবর নাই। বিভিন্ন উপায়ে লেখাপড়া করে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকার ১০৪০ তম স্থান দখল করে।
কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বগুড়া জেলা প্রশাসক মমতার পারিবারিক আর্থিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়। পরে মমতা খাতুনকে ডেকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা প্রদান করেন এবং তার উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। এর আগে মমতাকে ছোট বেলা থেকে লেখাপড়ায় সার্বিক সহযোগিতা করেছেন প্রতিবেশী মামা মনির হোসেন নামের এক যুবক।
মমতা খাতুন জানান, তার ইচ্ছা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অথবা গণযোগযোগ বিষয়ে পড়ালেখা করার। তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।