জেলা প্রতিনিধি
জেলাঃ বগুড়া
ঢাকার আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ আলাউদ্দিনকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা থেকে গ্রেফতার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আলাউদ্দীন পঞ্চগড়ের অটোয়ারী থানার ছোটধাপ এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার ভোরে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোকামতলা বাজার সংলগ্ন শ্বশুরবাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন।শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে মোকামতলায় তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে স্ত্রীসহ বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। শুক্রবার রাতে তিনি কর্মস্থল কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চলে যেতেন। আলাউদ্দিন টেকনাফে একটি এনজিওতে চাকরি করতেন। বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড এবং রায় ঘোষণার পর থেকেই আলাউদ্দীন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ দাসকে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আট জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপীল ও সাতটি জেল আপীল করেন আসামীরা। এসব আপীল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানী এক সঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দু’জনের মৃত্যুদন্ড বহাল, ১৫ জনের আমৃত্যু কারাদন্ড এবং চার জনকে খালাস দেয়া হয়।