বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মহরম হলো ইসলামিক চান্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস। অর্থাৎ, হিজরি নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে। স্বাগত হিজরি নববর্ষ ১৪৪৪।
প্রতিটি মুসলমানের জন্য হিজরি সন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
কারণ, হিজরি সনের সঙ্গে হজ, জাকাত ও রোজাসহ বহু বিধান জড়িত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লোকেরা আপনার কাছে নতুন চাঁদ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বলুন, এটা মানুষ এবং হজের জন্য সময়-নির্দেশক। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৯)
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে যেখানে ৩৬৫ দিন নিয়ে একটি বছর তৈরি হয়, ইসলামিক ক্যালেন্ডারে সেখানে ৩৫৪ দিন ১২টি মাসে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ইসলামিক নববর্ষ আল হিজরি বা আরবি নববর্ষ নামেও পরিচিত।
বছরের প্রথম মাসটি ইসলামে অত্যন্ত পবিত্র। কারণ এই পবিত্র মাসেই হজরত মুহাম্মদ (স.) মক্কা থেকে মদিনায় যাত্রা করেছিলেন। মাসের দশম দিনটি আশুরা নামে পরিচিত। এটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের দিন। এদিন কারবালায় নবি মুহাম্মদের নাতি হুসেনের হত্যা হয়। তার জন্য শোকপালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
মহরম শব্দের অর্থ ‘অনুমতি বিহীন’ বা ‘নিষিদ্ধ’। তাই এই সময়টি মুসলমানদের জন্য নানা কাজের বিধিনিষেধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের মতো ক্রিয়াকলাপ। বরং এই সময়টি প্রার্থনার এবং অন্তর্দর্শনের সময় হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দিনে রোজা রাখা ‘সুন্নত’ হিসাবে মানা হয়। যেহেতু হজরত মুহাম্মদ (স.) এই দিনে রোজা রাখতেন।
অন্যদিকে, শিয়া মুসলমানরা এই সময়ের মধ্যে সমস্ত আনন্দ অনুষ্ঠানে যোগদান করা এবং উদ্যাপন করা থেকে বিরত থাকেন এবং হযরত আলির পুত্র এবং হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর নাতি ইমাম হোসেনের স্মরণে মহররমের দশম দিনে রোজা পালন করেন।