বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটরিয়ামে উক্ত আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় শিশুদের মধ্যকার চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
তবে আলোচনা সভাস্থলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব পর্যায়ের কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও রোভার স্কাউটের কয়েকজন সদস্য ছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি।
অডিটরিয়ামের ২১টি সারির মধ্যে সম্পূর্ণ ভরা ছিল মাত্র চারটি সারি। যাদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং হলের প্রভোস্ট। বাকিগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে ২০-২৫ জন মাত্র উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থী দুই-তিনজনের বেশি উপস্থিত ছিলেন না।
শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের কেন ছিল না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ‘সবাইকে আসতে বলা হয়েছে। সব হলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রভোস্টদের বলা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আসা হয়। শিক্ষার্থীরা আসলে অনেক ধরনের দল করে তো। আর এই ব্যাপারটা হচ্ছে চেতনার ব্যাপার। সবাই হুট করে এখানে আসবে না।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপরে একটি সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজউদ্দিন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উল ইসলাম আলোচনা করেন।
এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সমিতি সংগঠনের প্রতিনিধিরা শোক জ্ঞাপন করেন।