বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বাবা আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে বিরোধ চলছিল জাহাঙ্গীরের। এরই জেরে হাসুয়া দিয়ে ছেলের মাথায় কোপ দেন বাবা।
রক্তাক্ত শরীরে মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই জাহাঙ্গীরকে কোপাতে থাকেন আব্দুল কুদ্দুসের দ্বিতীয় ঘরের দুই মেয়ের জামাই।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের হুজারপাড়া গ্রামে। নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন ঝিকরা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে মেয়েদের নামে জমি লিখে দেন আব্দুল কুদ্দুস। এ নিয়ে দুই ছেলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল বাবার। সেই জমিতে চাষ করা পাট তুলতে গিয়ে বাবার হাতে খুন হন ছেলে জাহাঙ্গীর।
নিহতের স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীর ও রাজীবের মা মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন আব্দুল কুদ্দুস। দ্বিতীয় সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। কয়েক মাস আগে দুই মেয়ের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন বাবা। এরপর থেকেই কলহ দেখা দেয়।
মঙ্গলবার সকালে হুজারপাড়া এলাকায় জমিতে পাট কাটতে যান জাহাঙ্গীর। এ সময় তাকে পাট কাটতে নিষেধ করেন আব্দুল কুদ্দুস এবং তার দুই মেয়েজামাই শনির আলী ও মনির আলী। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে জখম করেন তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
নিহতের ভাই রাজীব আলী বলেন, জমিতে পাটের আবাদ করেছি আমরা দুই ভাই। পাট কাটতে গেলে দুই মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে বাধা দেন বাবা আব্দুল কুদ্দুস। এ সময় হাসুয়া দিয়ে ভাইয়ের মাথায় প্রথমে কোপ দেন তিনি। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার দুই জামাইও কোপানো শুরু করেন।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত নিহতের বাবা আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।