1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি সাধারণ মানুষ খাদ্যের নিশ্চয়তা ও জীবনের নিরাপত্তা চায়: চরমোনাই পীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩৭ সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত ডেঙ্গু আক্রান্তে আজ ৬ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ১০৮৩ আমাদের সাহায্য করার চেষ্টা থেমে গেলে চলবে না: তারেক রহমান হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন: ড. ইউনূস ৪৪তম বিসিএসে ৪ হাজার জনের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল আগামী মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন দিতে হবে : এ্যানি কখন নির্বাচন দেওয়া হবে, জানালেন উপদেষ্টা নাহিদ পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না- পুলিশ সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান

শিক্ষিকার মৃত্যু : বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২
  • ১৭২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : নাটোরের কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মৃত্যুর পর একটি প্রসঙ্গ জোরে সোরে আসছে সেটা হচ্ছে বাইক প্রসঙ্গ।

খাইরুন নাহারের আগের পক্ষের ছেলে বৃন্তকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়া নিয়েই নাকি স্বামী মামুনের সঙ্গে মনোমালিন্য ও মান অভিমানের সৃষ্টি। আর মান অভিমান থেকেই এই আত্মহত্যা? এ নিয়ে এখন নাটোরের সর্বত্র চলছে আলোচনা।

খাইরুন নাহারের আগের পক্ষের ছেলে সালমান নাফি বৃন্ত। তিনি রাজশাহীর একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘অনেকের ধারণা আমার মাকে খুন করা হয়েছে। যদি এটা মার্ডার না-ও হয় তাহলে সুইসাইড করার জন্য মাকে উৎসাহ দিয়েছে মামুন। টাকা-পয়সাসহ অনেক বিষয়ে সে মেন্টালি প্রেসারে রাখছিল মাকে।

‘ওই ছেলে (মামুন) বিভিন্ন সময়ে টাকা-পয়সা নিত। সে বাইক কেনার টাকা আম্মুর কাছ থেকে নিয়েছে। সব খরচ নিত। আম্মু আমাকেও একটা বাইক কিনে দেয়ার কথা বলেছিল। মামুন এটা কিনতে দিতে বাধা দিচ্ছিল। এটা নিয়েও ওদের মাঝে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। সে রাতেও মামুনের সঙ্গে আম্মুর ঝগড়া হয়েছিল।’

খাইরুনের খালাতো ভাই নাইম হোসেন বলেন, ‘বিয়ের পর খাইরুন নিজের টাকায় মামুনকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। মামুন আবারো নতুন মডেলের মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এসব কারণে দুইজনের মাঝে মনোমালিন্য হতে থাকে। খাইরুন আত্মহত্যা করলেও এর জন্য একমাত্র মামুনই দায়ী।’

অন্যদিকে মামুন হোসেনের বোন ময়না খাতুন বলেন, ‘ভাই ও ভাবীর মধ্যে কোনোদিন ঝগড়া বিবাদ দেখিনি। ভাবীর বাবার বাড়ি থেকে চাপ ছিল। ভাবীর আগের পক্ষের ছেলে বৃন্ত তার কাছে বাইক কেনার জন্য পাঁচ লাখ টাকা এবং বাড়ি লিখে দেয়ার দাবি করে। আমাদের বিশ্বাস, ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্য, বাপ-মা বিয়ে মেনে না নেয়া- এসব কারণে ভাবী আত্মহত্যা করেছেন।’

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। খাইরুনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলতেন মামুন। মামুনের সম্মতিতে খাইরুন তার আগের পক্ষের বড় ছেলেকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার জন্য টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে মামুন আর ওই টাকা দিতে দেননি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল।’

উল্লেখ্য, কলেজশিক্ষিকা খাইরুন নাহার ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ২২ বছর বয়সী মামুনকে। স্থানীয় পৌর এলাকার বাসিন্দা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়। প্রথম স্বামীর দুটি সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি।

২০২০ সালে তাদের বিচ্ছেদ হওয়ার পর কেটে যায় দীর্ঘদিন। এরই মাঝে ফেসবুকে খাইরুন নাহারের পরিচয় হয় ২২ বছরের তরুণ মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফেসবুকে পরিচয় থেকে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয় হয়। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে তারা বিয়ে করেন। গত রোববার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া থেকে কলেজ শিক্ষক খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারাগারে রয়েছেন তার স্বামী মামুন হোসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com