তবে এরপরে তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতে নেয় টিম টাইগাররা।
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কেনিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে একটি করে জয় ও হারে বিশ্বকাপে পা রাখে বাংলাদেশ। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিল আশরাফুল-আফতাবরা।
তবে সেই সারা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে আর কোনও ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ১৬ বছরেও তাই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে শিশু বলে দাবি করছেন টাইগারদের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
এমনকি উইন্ডিজের বিপক্ষে সেই জয়ের পরে টানা ১২ ম্যাচ হার দেখে বাংলাদেশ। এরপর আবার উইন্ডিজ বধের মধ্য দিয়ে মাঝে মাঝে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেতে থাকে বাংলাদেশ। তবে এই ফরম্যাটে সবসময় দুর্বল দলই ছিল টিম টাইগার।
এই ফরম্যাটের খেলার ধরনের সঙ্গেও কখনো মানিয়ে নিতে পারেনি সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। ১৩১ ম্যাচে মাত্র ৪৫ জয় সেটারই ইঙ্গিত।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে অবস্থা আরও নাজুক। সর্বশেষ ১৬ ম্যাচে তো মাত্র দুই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে নতুন করে ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এই ফরম্যাটের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে অধিনায়ক থেকে শুরু করে কোচও পরিবর্তন করছে টিম টাইগার।
১৬ বছর টি-টোয়েন্টিতে পার করে টাইগারদের এই নতুন শুরু নিয়ে সাকিব জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতে এখনো শিশু অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। এখনও এই ফরম্যাটে হাঁটি হাঁটি পা করে এগুবে বাংলাদেশ। সাকিবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে ধীরে ধীরে দৌড়ানো শেখবে বলে বিশ্বাস এই ক্রিকেটারের।
ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যোগ দিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব।
যেখানে তিনি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দুরবস্থা নিয়ে বলেন, ‘দেখুন এমন একটা ফরম্যাট যেখানে আমরা ২০০৬ সালে প্রথম খেলেছি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খুব একটা ভালো ফলাফল নেই… এক্সেপ্ট কোনো একটা এশিয়া কাপে মনে হয় আমরা ফাইনালে উঠেছি।
সে জায়গা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি এই ফরম্যাটে।
যার ফলে আমাদের নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই। আর পথ যখন চলে… একটা বাচ্চা যখন চলা শুরু করে তখন তার প্রথম স্টেপগুলো অনেক কঠিন হয়। আস্তে আস্তে বিষয়গুলো ইজি হতে থাকে।
আশা করি, এটাই আমাদের স্টেপ বাই স্টেপ ছোট একটা বাচ্চার মতো চলা শুরু করতে পারব। এবং আস্তে আস্তে দৌড়ানোর জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারব।
আপনারা যদি বাস্তববাদী চিন্তা করেন। তিন চার মাসের মধ্যে যখন আমরা বিশ্বকাপ খেলবো। আপনি যদি উন্নতি দেখতে পারেন টিম থেকে ওটাই হবে আমাদের আসল উন্নতি।’