সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি আরব, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘে আরব গ্রুপের বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জাতিসংঘে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ ইয়াহিয়া আল-মোলালিমি ইসরাইলি হামলার কথা তুলে ধরার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভোলকান বোজকিরের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
এ ছাড়া, আল-মৌলালিমি জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ক্রমবর্ধ্মান সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা এই লড়াইয়ের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং সহিংসতা বন্ধ করার জন্যে দুই পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারও নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।
এ ছাড়া তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের শান্তির অধিকার এবং স্বাধীন রাষ্ট্র সমর্থন করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিউনিশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা টিএপি জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনের পবিত্র স্থানগুলোতে ইসরাইলের উসকানিমূলক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। পাশাপাশি বহু ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে এক পরিবারের ১০ সদস্য রয়েছে। যাদের আটজন শিশু ও দুইজন নারী।
অপরদিকে হামাসের রকেট হামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে।