বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : শারীরিক সম্পর্কে রাজি নন স্ত্রী। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মারধর করেন স্ত্রীকে। পরে স্ত্রীও ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ধস্তাধস্তিতে।
এসময় মাথায় আঘাত পান স্বামী। পরে স্ত্রী তার ওড়না স্বামীর গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পার খাজুরা গ্রামে এ ঘচনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে রহিমাকে তার বাবার বাড়ি কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, শনিবার অভিযুক্ত রহিমা বেগমকে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
যশোর পিবিআই’র পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, আকবর আলী সানা পেশায় একজন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আকবর আলী সানা বাগেরহাট থেকে ভাংগাড়ী ব্যবসা শেষে নিজ বাড়িতে আসেন। এমনিতেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয়া নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত।
২১ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ১০টার দিকে খাওয়া শেষ করে সানা তার স্ত্রী অভিযুক্ত রহিমা বেগমসহ সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে যান। ওই দিনই রাতে সানা অভিযুক্ত রহিমা বেগমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান। কিন্তু রাজি না হওয়ায় সানা তাকে মারধর করে।
এতে রহিমা ক্ষিপ্ত হয়ে সানার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে এবং তার মুখে আঘাত করে। ধস্তাধস্তির সময় সানা খাটের সঙ্গে মাথায় আঘাত পান। একপর্যায়ে রহিমা তার ওড়না দিয়ে সানার গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, শনিবার রহিমা বেগমকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসুর আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাছাড়া অব্যাহত রয়েছে মামলার তদন্ত।