বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : পাঁচ সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে ৯ মাস আগে মারা গেছেন রফিকুল ইসলাম। বাবা হারানোর সেই শোক না কাটতেই এলো আরেক শোক। ৫ সেপ্টেম্বর বজ্রপাতে মারা গেলেন মা নুরুন্নাহারও।
মায়ের মৃত্যুতে শিশু শোয়েব, ফাতেমা, বৃষ্টি ও সামিরার জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। বাবা-মাকে হারিয়ে এখন দিশাহারা ওই চার শিশু। সারা দিন মায়ের কবরের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকছে তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চর হাজীপুর গ্রামে। এদিকে গত শনিবার হোসেনপুরের চরহাজীপুরে চার শিশুর বাড়িতে গিয়েছিল স্কুল শিক্ষার্থীদের সংগঠন শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন। ওই চার শিশুদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে সংগঠনটি। এমনকি তাদের পড়াশোনার খরচও বহন করবে তারা।
শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, ঘটনাটি জেনে আমরা চেষ্টা করেছি তাদের জন্য কিছু করার। এই এতিম শিশুদের পাশে অন্যরাও দাঁড়াবে বলে আমরা আশা করছি।
তাদের চাচা আব্দুল জলিল বলেন, আমার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের পাঁচটি সন্তান। চার মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে সাবিনার বিয়ে হয়ে গেছে। ৯ মাস আগে আমার ভাই মারা গেছেন। এখন তাদের মা মারা যাওয়ায় চারটি শিশু এতিম হয়ে গেছে। এখন তাদের চলা কষ্টের হয়ে পড়েছে।
বড় বোন সাবিনা আক্তার বলেন, আপনারা সবাই আমাদের পাশে এগিয়ে আসুন। আমরাদের একটু সহযোগিতা করুন।