মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার পশ্চিম হুগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (১৯), একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে অপু (২৬) ও মৃত বারেক মিয়ার ছেলে মোখলেছ (২৫)।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর মিরাজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে মিরাজকে কিশোরী জানান, জন্ম নিবন্ধনে বয়স কম থাকায় চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। এ অবস্থায় জন্ম নিবন্ধনে বয়স সংশোধন করে কিশোরীকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখান তিনি। এতে রাজি হয়ে সোমবার বিকেলে মিরাজের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ভুক্তভোগী কিশোরী। পরে মিরাজ ও তার পাঁচ সহযোগীরা নির্জন স্থানে নিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির পশ্চিম হুগলিয়া এলাকায় ঝোঁপঝাড়ের পাশে ফেলে রেখে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ সময় অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান, আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিকেলে ৩ নং আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।