এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দীন আল কাসসাম বিগ্রেড সোমবার (১৭ মে) এ হামলার দাবি করেছে বলে ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, সোমবার বিকালে কাসসাম ব্রিগেডের সেনারা সাগরে ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এছাড়া কাসসাম ব্রিগেড ইহুদি উপশহর ‘হার্টসলিয়া’-তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের এই সংঘর্ষের জেরে ইতোমধ্যেই নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। যার মধ্যে শুধু গত রবিবার (১৬ মে) ইসরায়েলি হানায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ৪২ জন। গত এক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষের ঘটনায় এক দিনের হিসাবে যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদিকে, এই দুই দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে গড়িমসির অভিযোগে আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগল চীন।
রবিবারের হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে জাতিসংঘও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গতকাল সোমবার দ্রুত নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়। যদিও কার্যকরী কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অনেকেই এর জন্য আর্ন্তজাতিক মহলে ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবে পরিচিত আমেরিকাকে কাঠগড়ায় তুলছেন। একই অবস্থান চীনেরও। প্রয়োজনে শান্তি আলোচনার জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে তারা প্রস্তুত বলেও জানায় চিন।
তারা যদিও তাদের মতো করে এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছে আমেরিকা। পশ্চিম এশিয়ায় কূটনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী দেশগুলির সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই তালিকায় রয়েছে কাতার, সৌদি আরব, মিশর এবং ফ্রান্স।