বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : আলেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলারের ব্যাটে বড় পুঁজিই গড়ে ইংলিশরা। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটে ভালো জবাব দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। এমনকি জয়ের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করেন তারা। শেষ ছয় ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫৭ রানের। হাতে ছিল ছয়টি উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা ওয়ার্নার ও স্টয়নিস দুইজনই দারুণ সেট। তখনই বল হাতে নিয়ে জোড়া ধাক্কায় পরিস্থিতি বদলে দেন মার্ক উড। পরের ওভারে ফিরে পেলেন আরও একটি। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দারুণ এক ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
রোববার পার্থে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৮ রান করে ইংলিশরা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তুলতে সমর্থ হয় স্বাগতিক দলটি।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই ক্যামেরুন গ্রিনকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর মিচেল মার্শকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন ওয়ার্নার। এ জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। মার্শকে বোল্ড করে দেন তিনি। এরপর ১৯ রানের ব্যবধানে অধিনায়ককে ফিঞ্চকেও তুলে নেয় ইংলিশরা। তাতে লড়াইয়ে ফেরে দলটি।
তবে তাদের হতাশ করে চতুর্থ উইকেটে স্টয়নিসকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ওয়ার্নার। স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান যোগ করেন তারা। তখন মনে হয়েছিল জয়ের পথেই যাচ্ছিল দলটি। তবে স্টয়নিসকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন উড। সে ওভারে টিম ডেভিডকেও তুলে নেন। পরের ওভারে ফিরে আরেক সেট ব্যাটার ওয়ার্নারকেও ফেরান উড। তাতেই চাপে পড়ে যায় অজিরা।
অবশ্য এক প্রান্ত আগলে রেখে আশা জিইয়ে রেখেছিলেন ম্যাথিউ ওয়েড। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২২ রানের। হাতে চার উইকেট থাকলেও ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তা করতে পারেনি দলটি। এ দুই ওভারে ৩টি উইকেট হারালে ৮ রান দূরেই থামতে হয় তাদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। ৪৪ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ৩৬ রান করেন মার্শ। ১৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান আসে স্টয়নিসের ব্যাট থেকে। ইংলিশদের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন উড। ২টি করে শিকার রিস টপলি ও স্যাম কারানের।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক জস বাটলারকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩২ রান যোগ করেন আলেক্স হেলস। বাটলারকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন নাথান ইলিস। অবশ্য আরও আগেই ভাঙতে পারতো। ব্যক্তিগত ৩০ রানে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন বাটলার। চেষ্টা করেও তা ধরতে পারেননি মার্শ।
এরপর বেন স্টোকসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন হেলস। এরপর অবশ্য ২ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এ দুই সেট ব্যাটার। এরপর আরও দুটি উইকেট হারালেও বড় পুঁজি তুলে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি ইংলিশদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন হেলস। ৫১ বলের ইনিংসটি ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজান এ ওপেনার। ৩২ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৮ রান করেন বাটলার। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন ইলিস।