বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্বামীর মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে রেশমা আক্তার নামে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
রোববার ভোরে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রেশমা কসবার মেহারী ইউনিয়নের চৌবেপুর গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী আলমগীর মিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর নাম খাইরুল ইসলাম। তিনি সোনারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের মামা আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় দুই বছর আগে খাইরুলের সঙ্গে রেশমার বিয়ে হয়। খাইরুল গাজীপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন। বিয়ের পর থেকেই রেশমাকে এড়িয়ে চলতেন তিনি। খারাপ আচরণও করতেন। নিজের অমতে রেশমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ খাইরুলের। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। একাধিকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
৬ অক্টোবর ছুটিতে বাড়িতে আসেন খায়রুল। এরপর রেশমাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। নির্যাতন সইতে না পেরে রোববার ভোরে ঘরে থাকা কীটনাশক সেবনে অসুস্থ হয়ে পড়েন রেশমা। এরপরও শ্বশুরবাড়ির কেউ তাকে হাসপাতালে নেননি। প্রতিবেশী কিশোরকে দিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মারা গেলে খাইরুলসহ পরিবারের সবাই পালিয়ে যান।
মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শেদ বলেন, ছেলেটিকে বুঝিয়ে সংসারটি টেকানোর অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়েটি লাশ হলো।
কসবা থানার ওসি মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।