বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সিলেটের লামাকাজি পয়েন্ট ও সুনামগঞ্জের ছাতকসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ওপর হামলা ও যানবাহন ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশস্থল হয়ে উঠেছে লোকে-লোকারণ্য। নগরীর অন্যতম বৃহৎ উন্মুক্ত ময়দান আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সমাগম ঘটেছে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের। মাঠের বাইরে রাস্তায়ও অবস্থান নিয়েছেন মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে সিলেট বিভাগীয় সমাবেশস্থল। মঞ্চে বাজছে বিভিন্ন জাগরণী গান। শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে আসা নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে একে একে যোগ দিতে থাকেন। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একের পর এক মিছিল আসতে থাকে।
সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাইফ মাহমুদ জুয়েল। বিকেল নাগাদ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ প্রায় ভরে যায়। এই মাঠে ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছিল। চার বছর পর সেই একই মাঠে বিএনপি আরেকটি বড় আকারের সমাবেশ করতে যাচ্ছে।
এদিকে সমাবেশে আসার পথে বিভিন্নস্থানে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। সমাবেশে আসা জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্ৰামের কৃষক শাহাব উদ্দিন বলেন, দ্রব্যমূল্যের অতিরিক্ত দামে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আমি এই সরকার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই সমাবেশে এসেছি। দরকার হলে সারারাত এই মাঠে দাঁড়িয়ে থাকব।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সমাবেশ আসলেই ধর্মঘট দেওয়া এসব আওয়ামী লীগের পুরনো খেলা। তারা পরিবহন বন্ধ করে এই সমাবেশকে পণ্ড করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। যে সমাবেশ একদিন কিংবা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যেত, আপনারা সাংবাদিকরা হয়তো একদিন বা দুইদিন এর খবর প্রচার করতেন। তবে এই সমাবেশের খবরাখবরকে দশদিন প্রচার করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। এজন্য আওয়ামী লীগকে এবং তাদের অনুসারী পরিবহন শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা লম্বা প্রচারের জন্য আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন।
নিত্যপণ্য, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুরের পর শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটে গণসমাবেশের আয়োজন করছে তারা। এটি বিএনপির সপ্তম বিভাগীয় গণসমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্থানীয় বিএনপি ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেবেন।