সেদিন গোয়ালমারী-জামালকান্দিতে হানাদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মর্টার সেল নিক্ষেপ করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। ঐ দিন ঈদ-উল-ফিতর থাকায় অপ্রস্তুত মুক্তিযোদ্ধাদের ঘায়েল করতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী হামলা করে। গুলির আওয়াজ শুনেই মুক্তিযোদ্ধারাও প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। শুরু হয় উভয় পক্ষের ১৫ ঘন্টা লড়াই। রণক্ষেত্র হয় গোয়ালমারী বাজার এবং জামালকান্দি। দাউদকান্দি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য পশ্চিম দিকের কালীর বাজার ও মোল্লাকান্দির দিকে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরাট বাহিনী। নেতৃত্ব দেন মতলবের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল অদুদ। মুক্তিযোদ্ধারা চারদিকে ঘিরে ফেললে পাক বাহিনীর সদস্যরা পালাতে থাকে। পরদিন সকালে জামালকান্দি, লামছড়ি, দৌলদ্দি, কালাইরকান্দি, ডুনি নছরুদ্দি ও গোয়ালমারী এলাকায় ধানের মাঠ, খাল-বিল এবং ডোবা-নালায় ৭০ পাক সেনাদের মৃত দেহ ভেসে উঠে। এছাড়া শহীদ হন জামালকান্দি গ্রামের আব্দুর রহমান সরকার, সামছুন্নাহার ও তার কন্যা রেজিয়া খাতুন, সাইদুর রহমান ও আছিয়া খাতুন। কামাইরকান্দি গ্রামের গিয়াসউদ্দিন, সোনাকান্দা গ্রামের শহীদ উলাহ, রফারদিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এবং গোয়ালমারী বাজারের ইয়াসমীন পাগলিনী।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম বলেন, অন্যান্য বছর এ দিবসটি ঝাঁকজমক ভাবে পালন করা হলেও এবার করোনার কারণে কোন সমাবেশের আয়োজন করা হয়নি। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে আজ বিকেল ৩টায় গোয়ালমারী বাজারে মিলাদ মাহফিল ও স্বরণ সভার আয়োজন করছেন দাউদকান্দি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।