বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:বাজারে বোরো মৌসুমের নতুন চাল ওঠায় দাম কমতে শুরু করেছে। মাসখানেক আগে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৮ টাকার আশপাশে বিক্রি হতো। এখন নতুন মৌসুমের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকার আশপাশে। কমেছে মাঝারি ও সরু চালের দামও।
চালের দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন-আলু ও ডিমের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা, রসুনের ৭ টাকা, আলুর ২ থেকে ৪ টাকা এবং হালিপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর এবং সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি দামে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজিতে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে।
চীন থেকে আমদানি করা রসুন রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৫ টাকা কেজিতে। অথচ দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা কেজিতে। তবে দেশি রসুন ৬০-৭০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গত সপ্তাহে ৮০ টাকা পাল্লায় বিক্রি হওয়া সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা পাল্লায়। অর্থাৎ, সাদা আলুর পাইকারি দাম ১৯-২০ টাকা কেজি। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকা কেজিতে।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা হালিতে। তবে চড়া দামে দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালিতে।
চালের দাম কমে যাওয়া প্রসঙ্গে কথা হয় পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ রাইস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কাওসার আলম খানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বোরো মৌসুমের ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। নতুন চাল বাজারে আসায় দাম পড়তি। উত্তরবঙ্গে সব ধান কাটা শেষ হলে দাম আরো কমতে পারে।
পেঁয়াজ-রসুনের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন বলেন, আদা ও দেশি রসুনের দাম ঠিক থাকলেও আজ সকাল থেকে চায়না রসুনের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ফলে গতকালও ১০৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা চায়না রসুন আজ বিক্রি করছি ১১৩ টাকায়। কী কারণে বাড়লো তা তো আড়ৎদাররা বলতে পারবে। আমরা বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।