বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। ফলে আওয়ামী লীগের ভোটের ভাগাভাগির সুযোগ নিতে চান জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
রসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুত্ফা ডালিয়া। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লতিফুর রহমান মিলন দল থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ‘গোল’ দিতে চাইছেন সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
৯ মেয়র প্রার্থীর অন্যরা হলেন জাসদের শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান রাজু, জাকের পার্টির আশরাফুল ইসলাম খোকন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও আবু রায়হান।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছে। জনগণ আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দেবে। এ কারণে চাপ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন থেকে সরে যাইনি। ’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। আমি জনগণের জন্য দল করেছি। তাই দল থেকে বাদ দিলে কী হবে, জনগণ আমার পাশে আছে। ’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুত্ফা ডালিয়া বলেন, ‘জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আর জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়ী করবে। ’
ইভিএম মেশিনে আপত্তির কথা জানিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘রংপুরে ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানে অভ্যস্ত নন। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। ’
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবদুল বাতেন জানান, আগামী ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯। ২২৯টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, র্যা ব, বিজিবিসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করে যাবেন।
তিনি আরো জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যা যা করণীয়, তা করা হয়েছে। ভোটাররা নির্ভয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন যাতে না হয়, সে জন্য রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।