বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ায় ফিলিস্তিনি জাতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। তিনি গতকাল (শুক্রবার) ফিলিস্তিনি জনগণের উদ্দেশে দেয়া এক বাণীতে এ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে ফিলিস্তিন আরো বেশি শক্তিশালী এবং ফিলিস্তিনি তরুণ সমাজ ও প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর মোকাবিলায় ইহুদিবাদী ইসরাইল আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে।সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিগত কয়েক দিনে এক বড় ধরনের পরীক্ষায় সম্মানজনকভাবে উতরে গেছে ফিলিস্তিনি জনগণ।বর্বর ইসরাইল শিগগিরই একথা উপলব্ধি করবে যে, ফিলিস্তিনি জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন মোকাবিলা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “গত ১২ দিন ধরে নির্দয় ইসরাইল সরকার গাজা উপত্যকার ওপর ‘ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ’ চালিয়েছে। তেল আবিব প্রমাণ করেছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোকাবিলা করতে সে পুরোপুরি ব্যর্থ। উল্টো ইহুদিবাদী সরকার গাজার নিরীহ বেসামরিক জনগণের ওপর এমন ‘লজ্জাজনক ও উন্মত্ত’ আচরণ করেছে যে, গোটা বিশ্ববাসী ইসরাইল ও তার পশ্চিমা সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কাজেই ‘অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়া’ এবং ‘যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো’- উভয় ক্ষেত্রেই ইসরাইলের পরাজয় স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “কাজেই প্রকৃত অর্থেই ইহুদিবাদী ইসরাইল পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।”
ফিলিস্তিনি জনগণকে উদ্দেশ করে লেখা বাণীতে সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেন, “কখন যুদ্ধ শুরু হবে এবং কখন শেষ করতে হবে তা এখন ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রতিরোধ সংগঠনগুলোই নির্ধারণ করেন। তবে সংঘাত শেষ হলেও প্রতি মুহূর্তে প্রস্তুতি ও ময়দানে উপস্থিত থাকতে হবে।”
বাণীতে মুসলিম দেশগুলোকে আন্তরিকতার সঙ্গে ফিলিস্তিনি জাতির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদেরকে আর্থিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার দায়িত্ব মুসলিম বিশ্বের। সেইসঙ্গে গাজা উপত্যকার ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণেও মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার বিষয়টিও মুসলিম বিশ্বকে নিশ্চিত করতে হবে। তেল আবিবকে এটা বুঝিয়ে দিতে হবে যে, ফিলিস্তিনি নিরপরাধ নারী ও শিশুদের হত্যা করে বিনা শাস্তিতে পার পাওয়া যাবে না।এজন্য তিনি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক আদালতে ইহুদিবাদী সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার দাবি করেন।