বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কড়া বিধিনিষেধ ও লকডাউনে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে করোনাভাইরাসকে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দৈনিক করোনা আক্রান্তের থেকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই আস্তে আস্তে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। আর এরই মধ্যে আশার আলো জাগিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানালেন, চলতি বছরের শেষেই প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে।
শনিবার ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে রাজধানী দিল্লিতে। তবে চলতি বছরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। তা ঠেকাতেও আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন তথা দেশ। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ২৯০-এ। এক দিনে এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ১৯৪ জন। দেশে এখনো পর্যন্ত করোনার বলি ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৫ জন।
তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দী হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন মোট ২৯ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ জন। যে সংখ্যাটা গতকালের তুলনায় অনেকটাই কম। একইসাথে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩০ জন। এখনো পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
টিকা পেয়েছেন ১৯ কোটি ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দ্রুত টিকার ঘাটতি মেটানোর চেষ্টাও চলছে পুরোদমে। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানালেন, ২০২১-এর শেষেই সমস্ত প্রাপ্তবয়স্করা টিকা পেয়ে যাবেন। সেই পরিকল্পনা করেই এগোনো হচ্ছে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ২০ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন