বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের চারটি রাজ্যের উপকূলীয় নিচু অঞ্চল থেকে হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য, খাবার পানি ও অন্যান্য অপরিহার্য সরবরাহ মজুদ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ সেবাও সচল রাখতে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ মে) বেলা ২টার পরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির পর্যালোচনা করতে নয়াদিল্লিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজিব গৌবার নেতৃত্বাধীন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির (এনসিএমসি) বৈঠক হয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের হালনাগাদ নিয়ে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাসচিব ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বুধবার এটি যখন পশ্চিমঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানবে, তখন বাতাসের গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সঙ্গে দুই রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও ব্যাপক বন্যা হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে ২৩ মের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে লঘুচাপটির বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কিমি, সর্বোচ্চ বায়ুর ঝাপটা ঘণ্টায় ৪৫-৫০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর ফলে সাগর এলাকায় ইতিমধ্যেই প্রচুর মেঘ সঞ্চার ঘটেছে। লঘুচাপটি আগামী ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপে ও আগামী ১৬-২০ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, শনিবার বেলা ২টার পরে লঘুচাপটি সৃষ্টি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলকায়। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই লঘুচাপ রোববার সকালেই নিম্নচাপে রূপ নেবে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।