বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এ আসনটিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রগুলোর কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। তবে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। ভোটারদের মাঝে তেমন আগ্রহ নেই বললেই চলে।
অনেকেই বলছেন প্রার্থী কম ও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হওয়ার ফলে নির্বাচনের তেমন আমেজ নেই। আবার কেউ কেউ ইভিএমে ভোট দিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার। উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এর মধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছিল।
এসব কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, র্যাবের ১০টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১৭ জন ফোর্স মোতায়েন ছিল। এদের মধ্যে ১২ জন আনসার, দুইজন গ্রামপুলিশ ও ৩ জন পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেন।
সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ আসনটিতে ৫ জন প্রার্থী হলেও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
তাদের মধ্যে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া কলার ছড়া প্রতীক নিয়ে ৪৪ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙল প্রতীক) নিয়ে ৯ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন।
বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ মোটরগাড়ি প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন। জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৮১৮ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা আপেল প্রতীকে ৪৮৪ ভোট পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আজ ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারো অংশ নিয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এ আসনে ৫ বার এমপি ছিলেন।