বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) একাউন্টিং আল্যামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসার রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিতে সংগঠনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরআগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হলে আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারতাম না। আমি জগন্নাথ কলেজের ছাত্র থাকাকালীন ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা ঘোষণা করেন। তখন এই কলেজের নেতারা আমাদের বোঝাতেন ৬ দফার পটভূমি কী? তখন আমরা গ্রাম থেকে গ্রামান্তর গিয়ে ৬ দফা দাবির গুরুত্ব মানুষকে বোঝাতে শুরু করলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ কলেজ বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার রাজনৈতিক জীবনের গতিকে আরও বেগবান করেছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিংগুলোর স্মৃতির কথা স্মরণ করতে আমি বারবার এখানে আসি। এখানের প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে আমার স্মৃতি মন্থন করি।
তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলে আমার দুর্বলতা তৈরি হয়। জগন্নাথ থেকে আমার রাজনীতি জীবনের হাতেখড়ি এবং পরবর্তীকালে আমার রাজনীতি জীবনের সফলতা অর্জনের মূল শক্তি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনে যারাই ভোটে জয়ী হবে তারাই সরকার গঠন করবে, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যে আলোকিত পথ ধরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখছে, সেই উন্নয়নে অবদান রাখবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইয়ের শিক্ষার্থীরা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরির জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের পরে আমরা মনে করতাম, আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি। যখন রাজাকারদের গাড়িতে দেশের পতাকা লাগানো দেখি। আমি যখন সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম তখন সেই দেশের গাড়িচালক আমার কথা শুনে বুঝতে পারেন আমি বাংলাদেশি। তখন তিনি একটা পার্কিংয়ে গাড়ি থামিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘আপনারা কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেন?’ আমি লজ্জায় মাথা নত করলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি আলবদর, রাজাকার ও ১৫ আগস্টে জাতির পিতার পরিবারকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার করায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগানে রূপান্তরিত করায় আমি আবারো ধন্যবাদ জানাই।
অ্যালামনাইয়ের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিজনেস অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।