পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, রিয়াদ হোসেন স্থানীয় পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। শেরপুর শহরের ওই বাসায় তারা ভাড়া থাকতেন। বুধবার বিকালে রিয়াদ হোসেনকে বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে যান তার মা ও বাবা। পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে বাসার দরজায় এসে খোলার জন্য রিয়াদকে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না তারা। একপর্যায়ে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়ার পর রিসিভ না হওয়ায় সন্দেহ হয়। ফলে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা হয়।
পরে শয়নকক্ষের সেলিংফ্যানের সঙ্গে রিয়াদকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করেন।
শেরপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাম্মাক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত পরিবারের প্রতি অভিমান করে এই আত্মহননের পথ বেঁছে নিয়েছে। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে।
এছাড়া এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। কারণ রিয়াদের মৃত্যুর নেপথ্যে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র দাবি করেন।