বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : টস জিতে প্রথম দুই ওয়ানডেতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন অ্যান্ডি বার্লবির্নি। তবে শেষ ওয়ানডেতে সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে এসে আগে ব্যাটিং নিলেন। কিন্তু তাতে যেন উল্টো আরও বিপদ বেড়েছে তার। তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে গেছে আয়ারল্যান্ডের টপ অর্ডার। ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা আইরিশদের।
১৪ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান। ৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন ক্যাম্পার, অপর অপরাজিত ব্যাটার টাকারের সংগ্রহ ২০ রান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তারা বেশ সতর্কতার সঙ্গেই মোকাবিলা করছিলেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসেই প্রথম আঘাত হানেন টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। মাত্র ৮ রানে তিনি ওপেনার স্টিফেন ডোহেনিকে ফিরিয়েছেন।
হাসান মাহমুদের ওভারটি ৪ বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেছিলেন ডোহেনি। এরপর সেখান থেকে ভালোভাবেই কামব্যাক করেন হাসান। তার মানে তিনি আগের ওভারগুলো খারাপ করেছিলেন তা নয়। এখন পর্যন্ত প্রথম স্পেলে তিনটি ওভার করেছেন হাসান। একটি মেইডেন ওভারের সঙ্গে তিনি দিয়েছেন মাত্র ১০।
ডোহেনি মুশফিকের তালুবন্দী হওয়ার সময় সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল মাত্র ১২ রান। অর্থাৎ, হাসানের সঙ্গে একই স্পেলে বল করা পেসার তাসকিন আহমেদও চেপে ধরেছেন আইরিশ ব্যাটারদের। তার প্রথম তিন ওভারে এসেছে মাত্র ৬ রান।
এরপর নবম ওভারে এসে নিজের ও দলের দ্বিতীয় উইকেট নিয়েছেন হাসান। আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংকে এবার তিনি এলবিলব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন। ১২ বলে মাত্র সাত রানে করেন স্টার্লিং।
এর দুই বল পর হ্যারি ট্যাক্টরকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই পেসার। ওভারের চতুর্থ বলটি ব্যাক অব লেন্থে রেখেছিলেন হাসান, সেখান থেকে ভেতরে ঢোকা বলে ব্যাট চালিয়েও পুরোপুরি পরাস্ত হন এই ব্যাটার। বল তার পায়ে আঘাত হানলে আবেদন করেন হাসান। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। ফলে রিভিউ নেন তামিম ইকবাল। আর তখনই আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত বদলে আউট দিতে বাধ্য হন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বল খেলেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি ট্যাক্টর।
পরের ওভারে আক্রমণে এসে হাসানের সঙ্গে ‘উইকেট পার্টিতে’ যোগদেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের দ্বিতীয় বলটি খানিকটা শির্ট লেন্থে ফেলে অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের করে নিয়েছিলেন তাসকিন, সেখানে ফুটওয়ার্ক ছাড়াই জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অ্যান্ডি বার্লবির্নি। আর তাতে কোন ভুল করেনি দ্বিতীয় স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ রান করে অধিনায়ক ফিরে গেলে ২৬ রানেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারায় আইরিশরা।