সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার করতে তার দফতর ক্রেমলিনেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন- এমন অভিযোগ করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। তবে আঘাত হানার আগে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে রুশ বাহিনী। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে ঘটনার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। অন্যদিকে, রাশিয়াও ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় নিয়মিতভাবে ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
তবে এবার নিজেদের ড্রোন ভূপাতিত করতে বাধ্য হল ইউক্রেন।
রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবার ওই ড্রোনটি ভূপাতিত করে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। আকাশে উড়ার পর ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারানোয় বাধ্য হয়ে তা ভূপাতিত করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেছে।
ড্রোনটি ভূপাতিতের ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দফতরের কাছে। ফলে প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল রাশিয়া হয়তো ড্রোনটি পাঠিয়েছে। এমনকি ইউক্রেন প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ আন্দ্রে ইয়ারমার্ক প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন, এটি একটি শত্রু ড্রোন।
তবে পরবর্তীতে বিমানবাহিনী স্বীকার করে এটি তাদের নিজস্ব ড্রোন এবং ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ এড়াতে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
এটি তুরস্কের তৈরি বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোন বলে জানা গেছে। এই একটি ড্রোনের দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কিয়েভের আকাশে একটি ড্রোন উড়ছে। তখন এটি ভূপাতিত করার জন্য গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। এটি মাটিতে নামিয়ে আনতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট গুলি চলে।
সাধারণ মানুষ শত্রুর ড্রোন মনে করে ওই সময় আনন্দে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন এমন দৃশ্যও দেখা যায়।
ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পোপকো জানিয়েছেন, ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয় সোলোমানস্কি বিভাগে। এটি একটি ভবনের উপর আছড়ে পড়ে। এতে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সূত্র: বিবিসি