বিজ্ঞপ্তিতে ওই ১৭ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২টি বিজ্ঞপ্তিতেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সই রয়েছে। বহিষ্কৃত ১৭ নেতাকর্মীর মধ্যে জেলার কসবা উপজেলার ৭ জন, আখাউড়া উপজেলার ৪ জন, সরাইল উপজেলার ৪ জন এবং আশুগঞ্জ ও নবীনগর উপজেলায় ১ জন করে আছেন।
তারা হলেন- কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাফ ইসলাম, খাড়েরা ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক দীপু মিয়া, একই কমিটির সদস্য আসিফুল আলম, কুটি ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ, একই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম হাছিব, গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্য নাজমুল সরকার, বিনাউটি ইউনিয়ন শাখার সদস্য সৈকত আলী।
আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফুরকান আহম্মেদ, একই শাখার কর্মী আমিন সুমন, আখাউড়া পৌর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি রবিন খান খাদেম ও আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক বাইজিদ খান।
সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির খন্দকার, একই শাখার কর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান মাইনুর, শাহবাজপুর ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ নিয়ামুল ও একই কমিটির সদস্য আজহার উদ্দিন। এ ছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ সোহান ও নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. মমিন সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, জেলার কয়েকটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর শাখা ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী এ সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন বলে বুধবার বিকেলে আমাদের নজরে আসে। আমরা বিকেলেই তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করি। পরে রাতে আমরা আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পাই। তাদের ব্যাপারেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে যে-সব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কাজ করেছেন।
এজন্য তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।