এদিন (শুক্রবার) ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম লিড নেয় পাকিস্তান। পিছিয়ে পড়ার সাত মিনিটের মধ্যেই বাংলাদেশ ম্যাচে সমতা আনে। ডান প্রান্ত থেকে এক ক্রসে পাওয়া বলে মোর্শেদ আলী জটলার মাঝে হেড দিয়ে গোল করেন। ২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবু সাইদ।
লাল-সবুজ বাহিনীর অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের বাড়ানো স্কয়ার পাস পাকিস্তানি ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সেই ডিফেন্ডার ভুল করলেও বাংলাদেশের সাইদ বল জালে পাঠাতে বিলম্ব করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোল করার চেষ্টা চালায়। তবে জালের দেখা পায়নি কোনো দলই। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে রেফারি সাত মিনিট ইনজুরি সময় দেন। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পাকিস্তান সমতা আনার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ। বাংলাদেশের গোলরক্ষক পরাস্ত হলে ফাঁকা পোস্টের সামনে বল পায় পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড। সেই বল ভালোভাবে রিসিভ করতে না পারায় তিনি আর শট নিতে পারেননি।
পরের মিনিটে অবশ্য সুযোগ পায় বাংলাদেশও। কিন্তু তারা গোলের সেই সুযোগ হাতছাড়া করে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ।
ফিফার নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। সাফের এই জুনিয়র টুর্নামেন্টে নিজেদের গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সেমিফাইনাল খেলেছে। দিনের প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ৮-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। ফাইনালে আবার সেই গ্রুপের প্রতিপক্ষ ভারত-বাংলাদেশ।