1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন

ধারের টাকার বাজেট, ভাওতাবাজি পরিষ্কার : ফখরুল

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১
  • ১৯৩ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ধার করা টাকায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। শুক্রবার চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার‌্যালয়ে ‘বিএনপির বাজেট প্রতিক্রিয়া উপলক্ষে’আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, মোট বাজেটের ৩৫.৫৬%, অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশের বেশিই ঘাটতি যা বৈদেশিক অথবা অভ্যন্তরীণ সোর্স থেকেই ঋণের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। বিএনপি অতীতে এদেশকে বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থেকে বার বার বের করে আনার চেষ্টা করেছে আর আওয়ামী লীগ তাদের বিশৃংখল মেগা প্রকল্প ও মেগা দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিকে বার বার বৈদেশিক নির্ভর করে দেশের প্রতিটি শিশুর মাথায় জন্মের আগেই হাজার হাজার টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এবারের বাজেট তারই চরম বহি:প্রকাশ। আয় নাই, ধার করা টাকায় বাজেট করা হয়েছে। এসময় বাজেটে কোনো ভিশন নেই এবং করোনাকালে এ বিপদের সময় অর্থমন্ত্রী কোনো ক্যারিশমা দেখাতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।

জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিপাদ্য শব্দমালার মাঝেই এবারের বাজেটের ভাওতাবাজি পরিস্কার মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন গত ১৮ মাস যাবৎ অচল। এর মধ্যে অপরিকল্পিত লকডাউনের নামে শাটডাঊনে নিম্ন ও নিম-মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবন চুড়ান্ত রকমে থমকে গেছে। তাই সুস্পষ্টভাবে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা মাথায় না রেখে কেবলমাত্র অর্থনীতির নানা তত্ত্ব ও বিশাল সংখ্যার আর্থিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কার্যত জনগণের সাথে এক ধরনের ভাওতাবাজি করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এই বাজেটেও স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। অথচ এই মুহুর্তে মানুষের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

ফখরুল বলেন, মহামারিকালে মানুষের জীবন-জীবিকার স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে ও বেঁচে থাকার নিশ্চয়তায় চলমান স্বাস্থ্য পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ইহা একটি অবাস্তবায়নযোগ্য কাল্পনিক ও কাগুজে বাজেট ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণকে কোভিডের মহাসংকট থেকে রক্ষার দিকনির্দেশনা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। জনগণের সমর্থনবিহীন সরকারের রাষ্ট্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই এ বাজেটে জনস্বার্থের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। এটি দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার বাজেট। বিদেশি ঋণ জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে পরিশোধ করা হবে। সার্বিকভাবে বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পথরেখা না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটের শিরোনাম করেছেন “জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ”। বাজেট নাকি দেয়া হয়েছে ‘মানুষের’জন্য। শুনতে ভালো শোনায়। কিন্তু বাজেটে দিন আনে দিন খায় এমন গোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা রক্ষায় নগদ অর্থ এর কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নেই। এ খাতে পুরাতন ত্রুটিপূর্ণ ব্যাংকনির্ভর ঋণের কথাই বলা হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ বিতরণের যে সমস্যা মাঠ পর্যায়ে পরিলক্ষিত হয়েছে, সেটা নিরসনে অদ্যাবধি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ঋণ নয় বরঞ্চ আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের প্রস্তাব করেছিলাম।

বড় আকারের বাজেট আর বড় অংকের প্রবৃদ্ধির আলোচনা বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭.২% প্রবৃদ্ধির বড় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উচ্চাভিলাষ বজায় রেখেছেন। এবার সবাই আশা করেছিল জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দেয়ার দিকে বেশি নজর দিবে সরকার। অথচ সে জন্য কোন সুনির্দিষ্ট রোড-ম্যাপ দেননি অর্থমন্ত্রী। বাজেটটি দেশের ৫০ তম বাজেট উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সময় এটা। কিন্তু বাজেটে সে লক্ষে বড় কোন সংস্কার পরিকল্পনার উল্লেখ নেই। আয় ও ব্যয়ের সামর্থ বৃদ্ধি, বিশেষ করে গুণগত মান বজায় রেখে ব্যয় করার অক্ষমতা নিরসনে কোন সংস্কারমূলক কার্যক্রমের পরিকল্পনা নেই বাজেটে। প্রণোদনা তহবিল দেয়া হচ্ছে আগের মত ব্যাংকের মাধ্যমে অথচ ব্যাংক সেক্টর সংস্কারের কোন কথাই বলা হলো না। কর-ব্যবস্থা সংস্কারেরও বড় কোন সংস্কার প্রস্তাবও নেই। মানুষের হাতে টাকা না থাকলে চাহিদা বাড়বে না। হত দরিদ্র মানুষের জীবন বিভীষিকাময় হয়ে উঠবে।

করোনার ক্ষত থেকে শিক্ষা খাত পুনরুদ্ধারে কোন প্রণোদনা দেয়নি সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পরেছে। এদেরকে বৃত্তি দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে হবে। অপরপক্ষে করোনাকালে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছে না। ১০ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনভাতা বন্ধ আছে। অনেকে বেকার হয়ে গেছেন। কেজি স্কুল ও কারিগরিসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাজেটে এসব খাতে ব্যয়ে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রস্তাব দেখা যায়নি। বরঞ্চ প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারী কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ১৫% কর আরোপের প্রস্তাব করেছে। ‘সরকার মানবসম্পদ উন্নয়নের কথা বললেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানের উপর ট্যাক্স আরোপ করে মূলত শিক্ষা সংকোচন নীতি গ্রহণ করল।’

বাজেটে মৎস্য চাষ খাতে নতুন করে প্রস্তাবিত কর বাতিলের দাবি জানা বিএনপি মহাসচিব। মির্জা আলমগীর বলেন, ঘোষিত ঢাউস সাইজের সংখ্যাতাত্ত্বিক এই বাজেটে যা অনুপস্থিত। তাই বিএনপি মনে করে এই বাজেটে মহামারিকালে মানুষের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক গতি ফিরে পেতে ও বেঁচে থাকার নিশ্চয়তায় চলমান স্বাস্থ্য পরিকল্পনার গ্রহণের ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সুশাসন ও জবাবদিহী নিশ্চিতকরণ অর্থনীতির অঙ্গীকার চাই, যা এ বাজেটে অনুপস্থিত। দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টির মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি বৈষম্যহীন, জনবান্ধব, কল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com